শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসে মৃত্যু তরুণী চিকিৎসকের! মৃত্যুর আগে শেষ টুইটে কী লিখেছিলেন তিনি?

০২:৫৩ পিএম, জুলাই ২৬, ২০২১

হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসে মৃত্যু তরুণী চিকিৎসকের! মৃত্যুর আগে শেষ টুইটে কী লিখেছিলেন তিনি?

প্রকৃতিকে 'মা' বলে ডেকেছিলেন। কিন্তু সেই প্রকৃতিই তাঁকে ঠেলে দিল মৃত্যুর মুখে। রবিবার হিমাচলপ্রদেশের কিন্নরে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে টুইট করেছিলেন চিকিৎসক দীপা শর্মা। টুইটের পরমুহূর্তেই আচমকাইপাহাড় থেকে নামল ধস। সেই ধসেই চাপা পড়ে মারা গেলেন সেই চিকিৎসক। সঙ্গে আরও ৯ পর্যটক। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীপা থাকতেন রাজস্থানের জয়পুরে। প্রকৃতির টানে বারবার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়তেন তিনি। এবারও হিমাচল প্রদেশে প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে গিয়েছিলেন দীপা। প্রকৃতি ছিল তাঁর কাছে মায়ের মতো। লিখেছিলেন, ‘প্রকৃতি মা ছাড়া জীবন বৃথা।’ এদিন পাহাড়ের কোলে ক্যামেরা গলায় হাসিমুখে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি ভেজা প্রকৃতি অনুভব করছিলেন দীপা। সেই ছবি শেয়ার করেই টুইটারে তিনি লেখেন ‘ভারতের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। এখান থেকে ৮০ কিলোমিটার গেলেই তিব্বত, যা চিন দখল করে রেখেছে।’ রবিবার দুপুর ১২.৫৯ মিনিটে সেই টুইট করেছিলেন দীপা। ঠিক তার পরই দেখা যায় কিন্নরের ভয়ঙ্কর রূপ।

https://twitter.com/deepadoc/status/1418903240440225797

পাহাড়ের গা বেয়ে ঝড়ের গতিতে নেমে আসতে থাকে বড় বড় পাথরের চাঁই। কাঁপতে থাকে মাটি। মুহূর্তের মধ্যেই সব তছনছ করে দেয় সেই ধস। এরপরই প্রাণভয়ে চিৎকার করতে থাকেন পর্যটকরা। পাথরের চাঁই এসে পড়ে নদীর উপরের সেতুতেও। পাথরের আঘাতে ভেঙে যায় ব্রিজ। গাড়ি নিয়ে ফেরার পথও বন্ধ হয়ে যায়। উপায় না পেয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েন দীপা সহ বাকি পর্যটকরা। এরপর দুপুর ১.২৫ মিনিটে সাংলা-চিটকুল রোডে বাস্তেরির কাছে ধসে চাপা পড়ে মারা যান দীপা সহ ৯ পর্যটক। আহতও হয়েছেন বহুজন।

https://twitter.com/deepadoc/status/1419198227249651712

ঘটনা প্রসঙ্গে কিন্নর জেলার পুলিস সুপারিন্টেন্ডেন্ট সাজু রাম রাণা জানান, "মৃত ও আহতরা সকলেই পর্যটক। ধসের সময় সেতুর কাছে গাড়ির মধ্যে ছিলেন তাঁরা। বোল্ডারের ধাক্কায় ব্রিজ ভেঙে যায়। সেখানেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। খবর পাওয়া মাত্রই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।" অন্যদিকে, এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণাও করা হয়েছে।