বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

ওমিক্রন নাকি প্রকৃতির তৈরি টিকা, দাবি বিভিন্ন মহলের! এই প্রসঙ্গে ঠিক কী মত চিকিৎসকদের?

০৪:০৮ পিএম, জানুয়ারি ৩, ২০২২

ওমিক্রন নাকি প্রকৃতির তৈরি টিকা, দাবি বিভিন্ন মহলের! এই প্রসঙ্গে ঠিক কী মত চিকিৎসকদের?

করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন নাকি প্রকৃতির তৈরি টিকা। এমনটাই মনে করছে বিভিন্ন মহল। একাধিকের মতে, ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়লেও এটি মারাত্মক রূপ ধারণ করছে না। এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর পরিমাণও কম। আবার কারোর শরীরে ওমিক্রন সংক্রামিত হলে করোনার অ্যান্টিবডিও তৈরি হচ্ছে৷ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ওমিক্রনের সংক্রমণ আদতে ভালো? ওমিক্রন কি আসলে প্রকৃতির তৈরি টিকা? এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন চিকিৎসকরা।

সম্প্রতি সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: শাহিদ জামিল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই ধরনের ধারণা আসলে খুব ভুল। এরকম ধারণা বড় বিপদ ধরনের ডেকে আনতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে চলা অতিমারির প্রভাব এবং তার ফলে মানসিক ক্লান্তি থেকেই এই সব ভুয়ো তত্ত্বের জন্ম। এর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। পাশাপাশি ওমিক্রন যে প্রাকৃতিক টিকা নয় এই বিষয়ে সওয়াল তুলে তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিক টিকায় ‘লং কোভিড’-এর মতো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ওমিক্রনে তা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ভারতে যেখানে দারিদ্র-অপুষ্টি-দূষণ-ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা প্রবল, সেখানে কেবল আন্দাজের উপর ভিত্তির করে প্রায় অজানা একটা ভাইরাসের সামনে নিজেদের ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি কিন্তু খুবই মারাত্মক।

একই মত আরেক নামজাদা চিকিৎসক গিরিধারা আর বাবুরও। তিনি জানাচ্ছেন, একমাত্র ভ্যাকসিনই মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। ওমিক্রন যে হার্ড ইমিউনিটিও তৈরি করতে পারে, এখনও পর্যন্ত তার কোনও প্রমাণ নেই। চিকিৎসক সুচিন বাজাজের মুখেও একই কথা৷ তাঁর মতে, কোভিড সেরে যাওয়ার পরেও ৬ মাস পর্যন্ত এর জীবাণু শরীরের নানা অঙ্গের ভিতর থেকে যেতে পারে। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও তা হতে পারে। ফলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা পরিষ্কার নয়। তাই ওমিক্রনকে কখনই প্রকৃতির তৈরি টিকা বলা যাবে না।