শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘ডোর টু ডোর ভ্যাকসিনেশন’ নিয়ে কী ভাবছে কলকাতা পুরসভা! কী বলছেন ফিরহাদ হাকিম?

০৯:৩৮ পিএম, জুন ৭, ২০২১

‘ডোর টু ডোর ভ্যাকসিনেশন’ নিয়ে কী ভাবছে কলকাতা পুরসভা! কী বলছেন ফিরহাদ হাকিম?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে ঝড়ের গতিতে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। এপ্রিলের শুরু থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। এরপর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে, স্তব্ধ করে দেওয়া হয় গণপরিবহণ। কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়। এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর, কিছুটা হলেও বাগে এসেছে করোনার সংক্রমণ।

স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৫,৮৮৭ জন। এই সংখ্যাটা আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। আবার সামান্য হলেও কম মৃত্যুর সংখ্যাও। এদিকে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার টিকাকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করছেন। সেই অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে টিকাকরণের কাজ। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে টিকাকরণের প্রক্রিয়া।

আবার দেশের অন্যান্য রাজ্যে ‘ডোর টু ডোর ভ্যাকসিনেশন’ পরিষেবা দেওয়া শুরু হচ্ছে। যদিও এখনও কলকাতা পুর এলাকায় এখনও চালু হয়নি এই ‘ডোর টু ডোর ভ্যাকসিনেশন’ পরিষেবা। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এখানে আদৌ কি চালু হবে এই পরিষেবা?

এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতা এখনও প্রস্তুত নয়, ‘ডোর টু ডোর ভ্যাকসিনেশন’ পরিষেবা দেওয়ার জন্য। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের ভাবনায় রয়েছে এই পরিষেবার কথা। পরবর্তী সময়ে চেষ্টা করা হবে এই পরিষেবা চালু করার বিষয়ে। আসলে আমাদের হাতে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ করোনা টিকা নেই। যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই সমস্যা থাকবে।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রবীণ মানুষ, শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য মুম্বইতে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, তা ইতিমধ্যেই শুরুও হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, দিল্লিতেও এই ধরনের ‘ডোর টু ডোর ভ্যাকসিনেশন’ পরিষেবা শীঘ্রই চালু করা হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন চাওয়া হলেও দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। তিনি দাবি করেন, করোনা মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ কেন্দ্রের মোদী সরকার।