শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

দুই শ্যালককে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ‘ঘরজামাই’-এর বিরুদ্ধে! কেন খুন? কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

১১:৫৭ এএম, অক্টোবর ১৭, ২০২১

দুই শ্যালককে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ‘ঘরজামাই’-এর বিরুদ্ধে! কেন খুন? কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক নয়, দু-দুটি খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো আসানসোলের উত্তর থানার অন্তর্গত নুনীর বাউরি পাড়া এলাকায়। দুই শ্যালককে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে ঘর জামাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দুই শ্যালকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে, জলে ডুবিয়ে খুন করেছে অভিযুক্ত জামাই। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত জামাইকে আটক করেছে পুলিশ। তবে, অভিযুক্ত বর্তমানে দুর্গাপুরের এক হাসপাতালে কোমাচ্ছন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।

জানা গিয়েছে, ধৃত জামাই হারু বাউরি শ্বশুরবাড়িতেই থাকত। রবিবার রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তার জ্যেঠতুতো ২ শ্যালক অশোক বাউরি এবং বুধন বাউরির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, জামাই হারু বাউরি তার সম্পর্কে দুই শ্যালককে গলায় গামছা পেঁচিয়ে এবং জলে ডুবিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।

এদিকে, দুই শ্যালকের দেহ উদ্ধারের পর, ঘটনার কথা জানাজানি হতেই, অভিযুক্ত ঘরজামাই হারু বাউরি পালানোর চেষ্টা করেন। সেই সময়ই প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে ফেলে এবং মারধর করে। মারধরের জেরে গুরুতর জখম হয় হারু বাউরি।

পুলিশ ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুই শ্যালক এবং হারু বাউরিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা দুই শ্যালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, হারু বাউরিকে প্রথমে আশঙ্কানজক অবস্থায় প্রথমে জেলা হাসপাতালে এবং পরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এদিকে, এই জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কী কারণে এই খুন? সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে উত্তর থানার পুলিশ ও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর। প্রাথমিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, মদ্যপ অবস্থায় কোনও কারণে এই দুই শ্যালকের সঙ্গে হয়তো হারু বাউরির বচসা হয়। সেই বচসাই শেষে হাতাহাতিতে গড়ায়। যার চরম পরিণতি এই ঘটনা।