শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

'৮ জনকে মারা উচিত ছিল', বিস্ফোরক মন্তব্যের জের, রাহুল সিনহার প্রচারে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা কমিশনের!

০১:০৪ পিএম, এপ্রিল ১৩, ২০২১

'৮ জনকে মারা উচিত ছিল', বিস্ফোরক মন্তব্যের জের, রাহুল সিনহার প্রচারে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা কমিশনের!

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চার জনকে নয়, শীতলকুচিতে আটজনকে মেরে ফেললেও, কিছু যায় আসে না। এমনই মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির নেতা রাহুল সিনহা। এই মন্তব্যের জেরেই এবার তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল নির্বাচন কমিশন। তাও আবার বিনা নোটিশে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাহুল সিনহার নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, গতকাল পাঁচ পাতার বিবৃতি জারি করে কমিশন জানায় যে, আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন মন্তব্য রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যের জেরে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে, ২৪ ঘণ্টা নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিষেধাজ্ঞা জারির পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, বিজেপির নেতারা একাধিকবার আপত্তিজনক এবং প্ররোচনামুলক মন্তব্য করলেও, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না নির্বাচন কমিশন? নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আরও জোরালো হতে শুরু করে।

এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে রাহুল সিনহার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত, কমিশনের নিয়ম লঙ্ঘনকারী, তাই বিনা নোটিশে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর প্রচার বন্ধ রাখছে নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা যান ৪ জন। যা নিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই বিতর্কিত এবং বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, 'ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছেলেকে যারা গুলি করেছে, তাদের নেত্রী আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। মস্তানরাজ কায়েম করে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন।' এরপরই এরসঙ্গে তিনি আরও যুক্ত করে বলেন, 'শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিক কাজ করেছে। তাদের উপর বোমা ছোঁড়া হচ্ছে। আবারও গোলমাল করলে এই জবাবই দেবে। কেন চারজনকে মারল? ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল। এর জন্য বাহিনীকেই শোকজ করা উচিত।'

https://www.youtube.com/watch?v=OCRteq_q8Cs

এই মন্তব্য সামনে আসার পরই শুরু হয় বিতর্ক। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা করা হয়। তবে, শুধু রাহুল সিনহাই নন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুও শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বরানগরের নির্বাচনী সভা থেকে বলেন যে, 'শীতলকুচিতে দেখেছে কী হয়েছে। বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'