শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

তিন দফার ভোট হচ্ছে না একসঙ্গে! কেন এই সিদ্ধান্ত কমিশনের?

১০:২১ পিএম, এপ্রিল ১৫, ২০২১

তিন দফার ভোট হচ্ছে না একসঙ্গে! কেন এই সিদ্ধান্ত কমিশনের?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশব্যাপী ক্রমশ ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতর হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। বাংলাও এর বাইরে নয়। এদিকে বাংলায় চলছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন কুরুক্ষেত্রের লড়াইয়ের থেকে কোনও অংশে কম নয়। লক্ষ্য বাংলার সিংহাসন দখল। এই নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদিন মিটিং, মিছিল, জনসভা লেগেই রয়েছে। সেসবে প্রচুর মানুষের ভিড়ও হচ্ছে। আর স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা।

এমনিতেই রাজ্যে প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর হারও। রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে আক্রান্ত হচ্ছেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। আজই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। এর জেরে স্থগিত হয়ে গেছে সামশেরগঞ্জের বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৮৯২ জন।

এই অবস্থায় রাজ্যের বাকি তিন দফার ভোট একদফায় করার দাবি ওঠে। আজ জরুরি ভিত্তিতে সমস্ত পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক বসেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিইও। কমিশনের অন্দরেও কানাঘুষো শোনা যায় যে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য শেষ তিন দফার ভোট এক দফায় করতে পারে নির্বাচন কমিশন৷ এও জানা গিয়েছে যে, জানা গিয়েছে যে, তিন দফার ভোট এক দফায় করতে হলে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিন্যাস কেমন হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।

তবে, অবশেষে সব জল্পনার অবসান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তিনটি দফার ভোটগ্রহণ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করতে গেলে, যত বাহিনীর দরকার, তা হাতে নেই।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সুশীল চন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকেই তিনটি দফা একসঙ্গে না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করতে প্রয়োজন ১৪০০ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী।

এদিকে জানা দিয়েছে, ষষ্ঠ দফায় ৯২৪ কোম্পানি, সপ্তম দফায় ৭৯১ ও অষ্টম দফায় ৭৪৬ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অর্থাৎ তিনটি দফায় সবমিলিয়ে ২৪৬১ কোম্পানি বাহিনী দরকার। আর এই মুহূর্তে রাজ্যে আছে ১০৭১ কোম্পানি বাহিনী। অতএব এত অল্প সময়ে বাড়তি বাহিনী নিয়ে আসা সম্ভব নয় বলে কমিশন সূত্রে খবর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামীকাল, অর্থাৎ শুক্রবার বর্তমান করোনা আবহে ভোট পরিচালনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক (সিইও)কমিশনের তরফে রাজ্যের ১০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি লিখে কথা জানানো হয়েছে ১৬ এপ্রিল, শুক্রবার, দুপুর ২টোর সময় কমিশনের রাজ্য দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের চিঠিতে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি দল থেকে জন করে প্রতিনিধি যাবেন এই বৈঠকে কোভিডবিধির কথা মাথায় রেখেই, এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুধু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নয়, শুক্রবারের বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে