মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

বলিউডে দুঃসংবাদ! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন রেখার কাছের মানুষ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩, ১২:৩২ পিএম | আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩, ০৮:৩২ এএম

বলিউডে দুঃসংবাদ! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন রেখার কাছের মানুষ
বলিউডে দুঃসংবাদ! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন রেখার কাছের মানুষ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও বলিউডে শোকের ছায়া, ফের এক দুঃসংবাদ। একের পর এক মৃত্যুর খবরে শোকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। শনিবার বলিউড চলচ্চিত্র প্রযোজক কুলজিৎ পাল প্রয়াত হন। ৯০ বছর বয়সে জীবনাবসান ঘটে এই বর্ষীয়ান প্রযোজকের। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ অসুস্থতার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কুলজিৎ-এর। জানা গিয়েছে, ২৫ জুন, রবিবার অর্থাৎ আজই দুপুরে সান্তাক্রুজ শ্মশানে বর্ষীয়ান প্রযোজকের দাহকার্য সম্পন্ন হবে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে প্রয়াত প্রযোজকের ম্যানেজার জানিয়েছেন, ‘কুলজিৎজি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।’ কুলজিৎ পাল পরমাত্মা (১৯৭৮), দো শিকারী (১৯৭৯), অর্থ (১৯৮২), আজ (১৯৮৭), এবং আশিয়ানা (১৯৮৬) প্রযোজনার জন্য জনপ্রিয়।

জানা গিয়েছে, কুলজিৎই প্রথম ব্যক্তি, যিনি রেখার মতো অভিনেত্রীর প্রতিভা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তিনিই তাঁকে হিন্দি চলচ্চিত্রে ব্রেক দিয়েছিলেন। সেদিক থেকে রেখার জীবনের কাছের মানুষও বটে তিনি। যদিও, সেই ছবিটি স্থগিত রাখা হয়েছিল। আবার এই বর্ষীয়ান প্রযোজক তাঁর নিজের মেয়ে অনু পালকেও লঞ্চ করেছিলেন এবং তাঁকে ‘আজ’ ছবিতে কাস্ট করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, কুলজিৎ পালের প্রার্থনা সভা ২৯ জুন, সন্ধ্যায় আর্য সমাজ, পশ্চিম সান্তাক্রুজে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাট, যিনি আর্থ ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন, কুলজিৎ পালের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘কুলজিতকে আমি ভালোবেসে কুলি বলে ডাকতাম। তিনি ছিলেন একজন দাতা। একজন অসাধারণ হাস্যরসের অধিকারী মানুষ। তিনি নিজেকে এবং তাঁর চারপাশের পরিস্থিতি নিয়ে হাসতেন। আমার জীবনে তাঁর প্রভাব না থাকলে, আমি আমার স্থায়ী ক্লাসিক আর্থ তৈরি করতে পারতাম না। আর্থ তৈরি করার জন্য একটি সাহসী হৃদয় প্রয়োজন, এবং কুলজিৎ পাল একজন সাহসী মানুষ ছিলেন।’

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছেন, ‘একজন পরিচালকের পাশে দাঁড়াতে যথেষ্ট সাহস লাগে। যিনি চারটি ফ্লপের মুখোমুখি হয়েছেন এবং ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নাম লেখা হয়েছে। কুলজিৎ আমার সমস্ত ওঠাপড়ায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাকে আমার পছন্দের ছবিটি তৈরি করার অনুমতি দিয়েছেন, কাস্ট করেছেন।’

কুলজিৎ চলচ্চিত্র জগতে তাঁর গোটা যাত্রা জুড়ে কীভাবে তাঁকে সমর্থন করেছিলেন সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মহেশ ভাট বলেছেন, ‘ফটোগ্রাফি শেষ করার পর প্রায় এক বছর সময় লেগেছে চলচ্চিত্রে বিশ্বাসী একজন প্রযোজক খুঁজে পেতে। এবং সেই প্রযোজক ছিলেন কম্পিটেন্ট মুভিজের মিস্টার রাজ চোপড়া। এই ধরনের প্রযোজক বিরল। যদিও প্রত্যেকে সাধারণত হিটগুলির একটি স্ট্রিং-সহ একটি নামকে বিশ্বাস করে, আমি আমার জীবনের যাত্রায় এমন কাউকে দেখিনি যে আমাকে কুলজিতের মতো সমর্থন করেছিল। তিনি আমার মধ্যে কিছু দেখেছিলেন এবং এটিই আর্থকে ভালো ছবিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করেছে।’