শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিক্ষাবিদ রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়

১১:০৯ পিএম, নভেম্বর ২, ২০২১

প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিক্ষাবিদ রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শারীরিক অসুস্থতার জেরে সম্প্রতি সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। নিজেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন আর ভোটে দাঁড়াতে চান না তিনি। সেই শারীরিক অসুস্থতার কারণেই প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়।

২০১১-র বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন শিক্ষাবিদ রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাও প্রথমবার। সেবারই রাজ্যে পালাবদল ঘটে। ৩৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষাবিদ রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ও প্রথমবারেই নির্বাচনে জিতে তৃণমূল সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য হন। রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা, বিজ্ঞান ও জৈবপ্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন। ২০১৬-র ভোটেও একই আসন থেকে ফের জয়ী হন। তবে, মন্ত্রিত্ব পাননি বর্ধমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই অধ্যাপক। এদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে অবশ্য নিজেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য। দুই লাইনে সেই চিঠিতে আর ভোটে না দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন বয়স ও অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে। শেষপর্যন্ত তাঁকে প্রার্থীও করেনি তৃণমূল।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। হাই-সুগার ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। ভরতি ছিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সেখানেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

রাজ্যের মন্ত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন রবিবাবুকে কলকাতার হাসাপাতালে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। ওই কেন্দ্র থেকেই বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর হয়েছিলেন রবিরঞ্জনবাবু। তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই বর্ধমানে শোকের ছায়া নেমে আসে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপানা করেছেন। রাজ্যে পালা বদলের আগে নানা আন্দোলনে তাঁকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।