একই দিনে জোড়া অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থাকলো শহর কলকাতা। পাক স্টিট এর এপিজে স্কুলের বিপরীতে আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের এ দিন রাত ন'টা নাগাদ যুব কল্যাণ দপ্তর এর তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দমকলের দুটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সূত্রের খবর, এদিন রাত নটা নাগাদ হঠাৎই টেলিফোন ভবন এর বিপরীত দিকে যুব কল্যাণ দপ্তর এর তৃতীয় তলা থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান এলাকাবাসী। এর পরেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। কিন্তু তাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে সামাল দেওয়া না গেলে পরে আরও সাতটি ইঞ্জিন আনা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় শেষ পর্যন্ত দশটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। হাইড্রোলিক লেজারের মাধ্যমে তিনতলায় উঠে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন কর্মীরা। এর জেরে আহত হয়েছেন দমকলের এক কর্মী।তাঁর হাতের কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে গোটা এলাকা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
এদিকে যে ভবনে আগুন লেগেছে তার চারিদিকেই রয়েছে বিভিন্ন অফিস। তাই আগুন ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এলাকা। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে নজর রাখা হচ্ছে সেদিকেও। তবে এখন লকডাউন চলায় ওই ভবন যেহেতু ফাঁকা ছিল, তাই কোন প্রাণহানি ঘটেনি। এমনকি প্রাথমিকভাবে কেউ আটকে নেই বলে অনুমান দমকল কর্মীদের।
তবে ঠিক কিসের থেকে আগুন লেগেছে সেই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।সার্চ লাইট জ্বেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকল আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলে তবেই বোঝা যাবে আসলে আগুনের উৎস কি।