শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সাবধান! এই দু’টি ভুল করলেই বাতিল হতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম! কী কী? জেনে নিন

১১:২০ এএম, অক্টোবর ১৯, ২০২১

সাবধান! এই দু’টি ভুল করলেই বাতিল হতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম! কী কী? জেনে নিন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি ও আদিবাসী মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম ফিলাপ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে। সেই ফর্ম ও নথি জমা সরকারের কাছে জমা পড়লেই আপনার মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস আসবে। এরপরই আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকবে প্রকল্পের টাকা।

কিন্তু অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম জমা দেওয়ার পরও কোনও রকম এসএমএস আসেনি। অনেকের ক্ষেত্রেই প্রথমবার আবেদন করার পর তাঁদের আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা পুনরায় আবেদন করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। দ্বিতীয়বারও ওই মহিলাদের আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?

জানা গিয়েছে, আবেদন করার সময় আপনি যদি এই দুটি ভুল করেন তাহলে আপনার আবেদন পত্র বাতিল হয়ে যাবে। ভুলগুলি হল, সঠিকভাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের নম্বর না দেওয়া এবং কাস্ট সার্টিফিকেট সম্পর্কিত বিবরণে ভুল। এই দুটি ভুল হলে আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

[caption id="attachment_36178" align="alignnone" width="1536"]সাবধান! এই দু’টি ভুল করলেই বাতিল হতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম! কী কী? জেনে নিন সাবধান! এই দু’টি ভুল করলেই বাতিল হতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম! কী কী? জেনে নিন[/caption]

১. অনেকেই আবেদন করার সময় আবেদনপত্রের চাওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পূর্ণ নম্বর দিতে ভুল করছেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ক্ষেত্রে একেবারে শেষের দিকে আলাদাভাবে একটি নম্বর রয়েছে, যেটি অনেকেই তাদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করছেন না। যে কারণে অনেকের আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নম্বর ‘1256-3478-1901-1’ থাকলে অনেকেই সে ক্ষেত্রে শেষের সংখ্যাটি বাদ দিয়ে ‘1256-3478-1901' পর্যন্ত উল্লেখ করছেন। যা ভুল। তাই আবেদনপত্র বাতিল হচ্ছে।

২. আবার অনেকের ক্ষেত্রেই আবেদন করার সময় তাদের কাস্ট সার্টিফিকেট নম্বর আবেদনপত্রে দেননি। অনেকে হয় নম্বরটি দিতেই ভুলে গিয়েছেন, আবার অনেকে ভুল নম্বর দিয়েছেন। আবার অনেক সময় কিছু আবেদনকারী অনলাইনে কাস্ট সার্টিফিকেট আবেদন করার সময় যে অ্যাপ্লিকেশন নম্বরটি পেয়েছিলেন সেটিই দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তা একেবারেই ভুল। ওই অ্যাপ্লিকেশন নম্বর আর রেজিস্ট্রেশন নম্বর আলাদা। তাই সঠিকভাবে কাস্ট সার্টিফিকেটের নম্বর দিতে হবে। নাহলেই বাতিল হবে আবেদনপত্র।