শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

৭ মিনিটেই শপথ, দেশের মধ্যে এই প্রথমবার ভার্চুয়াল শপথ নিলেন এই তিনজন

১২:৫৬ পিএম, মে ১০, ২০২১

৭ মিনিটেই শপথ, দেশের মধ্যে এই প্রথমবার ভার্চুয়াল শপথ নিলেন এই তিনজন

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসনে জয়লাভের পর, তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনটা ছিল ৫ মে। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার ঠিক ৫ দিন পর, ১০ মে, সোমবার শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব্য গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এই প্রথমবার ৪৩ জন মন্ত্রীর মাত্র ৭ মিনিটে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করল বাংলা। পাশাপাশি দেশে এই প্রথমবার ভার্চুয়াল শপথগ্রহণ করলেন রাজ্যের নব্য গঠিত মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রী।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সোমবার রাজভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১০ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ৯ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নিলেন। এর মধ্যেই ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অমিত মিত্র, রথীন ঘোষ ও ব্রাত্য বসু।

অসুস্থতার কারণে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায়নি। সেখানে, খড়দা কেন্দ্রে অমিত মিত্রর বদলে এবারের নির্বাচনে কাজল সিনহাকে প্রার্থী করে তৃণমূল। ভোটের ফল বেরনোর আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কাজল সিনহার। ফলে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খড়দা কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়াতে পারেন অমিত মিত্র। এদিন সাবধানতা অবলম্বনে ভার্চুয়াল শপথ নেন অমিত মিত্র। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এবং আইসোলেশনে থাকায় ভার্চুয়াল শপথ নেন রথীন ঘোষ ও ব্রাত্য বসু।

উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপের কারণে এবারে পৃথকভাবে শপথ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। একসঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করলেন পূর্ণমন্ত্রীরা। তাঁদের পরে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রিরা শপথ নেন। এরপর একসঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন প্রতিমন্ত্রীরা। পুরো শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয় ৭ মিনিটের মধ্যেই। নতুন মন্ত্রীরা কোভিড মোকাবিলাকেই অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উন্নয়ন ও কোভিড মোকাবিলার কাজ করবেন। শপথগ্রহণের পর নবান্ন সভাঘরে পৌঁছছেন নতুন মন্ত্রীরা। এখানে হবে নয়া মন্ত্রিসভার বৈঠক।

এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে, মানস ভুঁইয়া, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ বিশ্বাস, অরূপ রায়, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, জাভেদ খানের মতো হেভিওয়েট বিধায়করা পূর্ণমন্ত্রী হলেন। এঁদের পাশাপাশি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বেশ কয়েকজন নতুন মুখও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, রথীন ঘোষ, পুলক রায়, বিপ্লব মিত্র প্রমুখ। এবার মন্ত্রীসভায় নতুন মুখ অন্তত ১৬জন। যেমন অখিল গিরি, বুলু চিক বরাইক, শিউলি সাহা, পুলক রায়, হুমায়ুন কবীর, মনোজ তিওয়ারি, বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মাণ্ডি. দীলিপ মণ্ডল-রা। এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব্য গঠিত মন্ত্রিসভায় কারা কারা আছেন।

পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে ক্যাবিনেটে থাকছেন যাঁরা, তাঁরা হলেন- সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, সাধন পাণ্ডে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বঙ্কিম হাজরা, মানস ভুঁইয়া, মলয় ঘটক, সৌমেন কর মহাপাত্র, অরূপ রায়, রথীন ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রনাথ সিনহা, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, গোলাম রব্বানি, বিপ্লব মিত্র, জাভেদ আহমেদ খান, স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ক্যাবিনেটে থাকছেন যাঁরা, তাঁরা হলেন- বেচারাম মান্না, সুব্রত সাহা, হুমায়ুন কবীর, অখিল গিরি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রত্না দে নাগ, সন্ধ্যারানি টুডু, বুলু চিকি বারাইক, সুজিত বসু, ইন্দ্রনীল সেন। এছাড়াও রয়েছে ৯ জন প্রতিমন্ত্রী। তাঁরা হলেন- দিলীপ মণ্ডল, আখরুজ্জামান, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাতো, সাবিনা ইয়াসমিন, বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মাণ্ডি, পরেশ অধিকারী এবং মনোজ তিওয়ারি।

এদিন মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর, ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এটা লড়াইয়ের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে হয়তো অনেকেই বাঁচব না। প্রধানমন্ত্রীর অপদার্থতার জন্য শ্মশানের পরিণত হয়েছে গোটা দেশ। বাংলাকে বাঁচাতে হবে। তাই এই দায়িত্ব আনন্দের নয়। বরং কাঁটার চেয়ারে বসতে হবে।’