বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ যাকে বলে ‘রাখে হরি মারে কে’। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল নাগপুর-হায়দরাবাদগামী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আচমকাই মাঝ আকাশে বিমানের একটি চাকা খুলে পড়ে যায়। এরপর পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে, অতি তৎপরতার সঙ্গে জরুরি অবতরণ করিয়ে, বড় দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হন বিনামের চালক।
জানা গিয়েছে যে, নাগপুর থেকে হায়দরাবাদ যাচ্ছিল ওই বিমানটি। ওই বিমানে ছিলেন একজন রোগী, চিকিৎসক, রোগীর আত্মীয়-সহ দু-জন বিমানকর্মী। কিন্তু যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে বিমানটিতে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটির একটি চাকা খুলে মাটিতে পড়েও যায়।
https://twitter.com/ANI/status/1390325188315602947এর জেরে সঙ্গে সঙ্গে বিমানের চালক পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বিমানটির জরুরি অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেই কাজে সফলও হন বিমান চালক। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুম্বই বিমানবন্দরে অবতরণ করে VT - JIL এয়ারক্র্যাফ্টটি। জানা গিয়েছে, বিমানের সকলেই নিরাপদে এবং অক্ষত অবস্থাতেই ছিলেন। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ৯ মিনিটে বিমানটির অবতরণ করানো হয় মুম্বই বিমানবন্দরে। তবে, এই জরুরি অবতরণ মোটেও সহজ ছিল না। ল্যান্ডিং গিয়ার ব্যবহার না করে, বেলি ল্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন বিমান চালক। এর অর্থ, বিমানের চাকা ভিতরে না ঢুকিয়েই, তাকে মাটিতে নামিয়ে আনা। সেই কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মুম্বই বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফোমের ব্যবস্থা করেছিলেন বিমানবন্দর কর্মীরা। উদ্দেশ্য, যাতে কোনও ভাবেই বিমানটিতে আগুন ধরে না যায়।
এদিকে ওই বিমানের চালক কেশরী সিং খুবই উত্তেজিত এই ঘটনায়। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ‘যখন দেখলাম বিমানটির চাকা খসে পড়ে গিয়েছে, তখন বুঝেছিলাম নামতে হলে, অনেকটা জ্বালানি পোড়াতে হবে। আমি বেলি ল্যান্ডিংয়ের পক্ষে ছিলাম। তবে, জানতাম না রানওয়ের কোনও ক্ষতি হবে কিনা। অবশেষে সব কিছু ঠিকভাবে মেটায় এবার স্বস্তি।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুম্বই বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানচালক খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ওই জরুরি অবতরণের আগে। তবে, শেষ পর্যন্ত ঘণ্টা তিনেকের প্রচেষ্টায় তিনি সফল হন সম্পূর্ণ নিরাপদে বিমানটিকে অবতরণ করাতে।
https://twitter.com/ANI/status/1390342579019915264