শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যাডমিন্টনের সোনালী কন্যা পিভি সিন্ধু, না জানা তাঁর জীবনের ৮ কাহিনী

০৫:১০ পিএম, আগস্ট ১, ২০২১

ব্যাডমিন্টনের সোনালী কন্যা পিভি সিন্ধু, না জানা তাঁর জীবনের ৮ কাহিনী

বিশ্বখ্যাত পি ভি সিন্ধুর ব্যাপারে তো শুনেছেন অনেক কথাই। খেলার দুনিয়ায় তাঁর প্রতিপক্ষের কতটা হাঁটু কাঁপে সেই ব্যাপারেও অজানা নেই, তবে তাঁর ব্যাতিগত জীবনেও আছে অনেক ‘টুইস্ট’। অনেক না জানা কথা। তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনের নানান বিষয় যেমন খাওয়া দাওয়া থেকে সময় কাটানোর উপায়,জানেন কি? রইলো বিস্তারিত।

১) বাবা ও মা উভয়ই ক্রীড়া জগৎ খ্যাত পি ভি সিন্ধু ১৯৯৫ সালের ৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন এমন এক ঘরে যেখানে তাঁর বাবা এবং মা দুজনেই বিখ্যাত ক্রীড়াবিদ। তাঁর বাবা ও মা দুজনেই জাতীয় স্তরে ভলিবল খেলোয়াড় । স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের কন্যারও ইচ্ছে জাগে খেলোয়াড় হিসেবেই প্রতিষ্ঠা লাভ করার। এখানেই শেষ নয় ২০০০ সালে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন তাঁর বাবা পি ভি রামন ।

https://www.instagram.com/p/BJiqbKvBa78/  

২) যাতায়াত করতে হতো দৈনিক ১২০ কিলোমিটার পিভি সিন্ধু অল্প বয়সেই আগ্রহ দেখান ব্যাডমিন্টনের প্রতি। বারো বছরেরও বেশি সময় ধরে, তাঁর বাবা ভোর ৩টেয় ঘুম থেকে উঠে তাঁকে নিয়ে যেতেন পুল্লেলা গোপীচাঁদের একাডেমিতে যেখান থেকে তিনি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হন। প্রত্যেকদিন প্রায় ১২০ কিলোমিটার তাঁদের যাত্রা করতে হতো। "ম্যারেদপল্লি থেকে তিনি তাঁকে(সিন্ধু) গাছিবৌলির গোপীচাঁদ একাডেমি পর্যন্ত দিয়ে আসতেন ও নিয়ে যেতেন। সম্প্রতি তিনি গোপীচাঁদের একাডেমির কাছাকাছি চলে আসেন।

https://www.instagram.com/p/BKDKBOQBtAm/  

৩) নিজের বোনের বিয়েতেই আসা হয়নি তাঁর ২০১২ সালে হায়দরাবাদে বিয়ে হয় তাঁর বোনের কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি নিজেই আস্তে পারেননি তাঁর বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে। ১৭ বছর বয়সে সৈয়দ মোদী ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া গ্র্যান্ড প্রিক্স গোল্ড খেলছিলেন পিভি সিন্ধু। সে সময় তিনি লখনউতে ফাইনালের দরজায়, তাই আর ছেড়ে আসা হয়নি অনুষ্ঠানে।

https://www.instagram.com/p/BEECSdpmSIi/  

৪) ফোন ছাড়া ৩ মাস ২০১৬ সালে ভারতীয় হিসেবে প্রথম রুপোর পদক জেতেন পিভি সিন্ধু। তাঁর যাতে মনোনিবেশ করতে সমস্যা না হয় সেই জন্যে তাঁর থেকে নিয়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল ফোন। তাঁর কোচ গোপিচাঁদ বলেন অলিম্পিক্সে পদক পাওয়ার যদি কিছু ফেরৎ দেওয়ার থাকে তা হলো তাঁর ফোন।

৫) সচিনের উপহার বিএমডব্লু রিও-তে অলিম্পিক্সে পদক পাওয়ার পর উপহার পেয়েছিলেন অনেক কিছুই তবে স্বয়ং মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকার তাঁকে একটি বিএমডব্লু উপহার দেন।

https://www.instagram.com/p/BNZny0UBRnm/  

৬) অবসরে যোগ, সাঁতার ও ধ্যান নিজেকে শান্ত রাখতে যোগ ব্যায়াম, ধ্যান ও সাঁতারের মতো কিছু জিনিসেই আস্থা রাখেন সিন্ধু। খেলার প্রশিক্ষণ না থাকলে এই তিনটে অভ্যাস তাঁর নিয়মিত চলে।

https://www.instagram.com/reel/CPijBeJhBbH/  

৭) কার সঙ্গে টক্করের ভয় সুপ্রতিষ্ঠিত কোনও খেলোয়াড় নন বা বড় বয়সী কেউ নন যাকে তাঁর ভয়। বরং ছোট্ট ভাগ্নেকেই তিনি মনে করেন তাঁর 'হার্ড কম্পিটিটর'।

https://www.instagram.com/reel/CRnp-3ahi5a/  

৮) খাওয়ায় ‘না’ নেই খেলাধুলো তাঁর নিজের জায়গায়, ইন্সটাগ্রাম দেখলেই আপনি বুঝবেন তিনি খেতে কতটা ভালবাসেন। অলিম্পিক্সে যাওয়ার সময় থেকেই তাঁকে ছাড়তে হয়েছে তাঁর অতি পছন্দের মিষ্টি দই। পছন্দের আইস্ক্রিম পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। অবশ্য এখন সব কিছুর উপর থেকেই নিষেধ উঠে গেছে জানান তাঁর কোচ।

https://www.instagram.com/p/5j-AIRmSNY/