রাজ্য ও রাজ্যপালের যে মেটার নয় তা ফের একবার পরিষ্কার হল রবিবার। নির্বাচন পর্ব মিটতেই রাজ্যের ৪ বিদায়ী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এই চারজন হলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর টুইট করে জানান, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী নারদা কান্ডে আইনি তদন্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হল।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1391365439553302529উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল এক গোপন ক্যামেরায় স্ট্রিং অপারেশন চালিয়েছিলেন। সেখানে এই চারজন বিদায়ী মন্ত্রীকে বিপুল পরিমাণে অর্থ নিতে দেখা গিয়েছিল। এরপরে সেই ফুটেজ সামনে আসতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী চার্জশিট পেশ এর জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তাতেই এদিন সীলমোহর দিলেন রাজ্যপাল।
উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যপাল এই চার্জশিটের অনুমোদন নিতে পারেন কি না তা নিয়ে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এখন ঘটনাটি যখন ঘটে ছিল তখন তারা পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ছিলেন সেই হিসেবেই রাজ্যপাল এই আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এরপরে আরো একটি প্রশ্ন উঠছে তাহলে এই তালিকায় নাম ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। সেক্ষেত্রে চার্জশিটে তার নামের কথা উল্লেখ করা হয়নি কেন। এ প্রসঙ্গে সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, তিনি যেহেতু তখন সাংসদ ছিলেন তাই তার নাম নেওয়ার ক্ষেত্রে লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমোদন দরকার। যা রাজ্যপালের এক্তিয়ারের বাইরে।
এদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী থাকলেও এখন তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। যদিও বর্তমানে তিনি আদৌ গেরুয়া শিবিরে থাকতে চান কিনা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ফের ঘাসফুল শিবিরে তিনি ফিরতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।