শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

এখনই নয় CAA! সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করা নিয়ে কী জানাল কেন্দ্র?

০৪:৪১ পিএম, জুলাই ২৭, ২০২১

এখনই নয় CAA! সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করা নিয়ে কী জানাল কেন্দ্র?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এখনই নয় CAA। পিছিয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অর্থাৎ CAA কার্যকর করার প্রক্রিয়া। এই নতুন আইনের বিধি প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে আরও ৬ মাসের সময় চাইল কেন্দ্রের মোদী সরকার। কাজেই বিল পাশ হওয়ার পর, প্রায় দু’বছর অতিক্রান্ত হলেও, এই আইন প্রণয়ন করতে পারল না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ এই আইন প্রণয়ন করা নিয়ে প্রশ্ন করেন যে, কবে কার্যকর করা হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন? পাশাপাশি তিনি এও জানতে চান যে, কেন্দ্র সরকার কি এই বিতর্কিত আইন কার্যকর করার ডেডলাইন মিস করেছে? যার জবাবে, মঙ্গলবার লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন যে, এই আইনের বিধি প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিকে আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর। এরপর গতবছর জানুয়ারির ১ তারিখ এই আইন কার্যকর হয়েছে। তবে, এর বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে কমিটিকে আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই বিতর্কিত আইন প্রণয়নের সময় আরও ৬ মাস পিছিয়ে গেল।

উল্লেখ্য, গত প্রায় দু’বছর ধরে এই আইন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিতর্কিত আইন কার্যকর করার প্রসঙ্গে এর আগে জানিয়েছিলেন যে, দেশের করোনা অতিমারি পরিস্থিতির কারণে এই আইন কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। ভ্যাকসিন এলেই এই আইন কার্যকর করা হবে। আবারও সেই করোনাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়েই এবারও আরও ৬ মাসের জন্য কেন্দ্রের এই বিতর্কিত আইনের বিধি প্রণয়নের প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দেওয়া হল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্রের জন্য সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আইন প্রণয়ন করা বা না করা উভয় দিকেই সমস্যায় পড়েছে কেন্দ্র সরকার। এই আইন এই মুহূর্তে কেন্দ্রের জন্য শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার কারণ, এই আইন কার্যকর করা হলে, একদিকে যেমন ভোটের আগে বাংলার মতুয়াদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে। ঠিক সেইভাবেই উল্টোদিকে এই আইন কার্যকর করা হলে, অসমের ভূমিপুত্রদের রোষের মুখে পড়তে হবে, পদ্ম শিবিরকে। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে। এই ‘উভয়সঙ্কট’ এর জন্যই আরও কিছুদিন বিতর্কিত আইনের বিধি প্রণয়নের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে বাধ্য হল কেন্দ্র। তাছাড়া, আইন পাশ হওয়ার সময়ও এ নিয়ে প্রচুর বিক্ষোভ হয়েছে। বিধি প্রণয়নের পরও সেই ধরনের বিক্ষোভের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।