শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য! মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, শুরু পুলিশি তদন্ত

০১:২৮ পিএম, নভেম্বর ২০, ২০২১

ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য! মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, শুরু পুলিশি তদন্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহঃ মাত্র ৮ ঘণ্টা আগে তাঁর ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ার কথা ছিল, পড়াশোনার জন্য। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। নিজের শোয়ার ঘোর থেকেই উদ্ধার হল তৃতীয় বর্ষের এক মেধাবী ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। কীভাবে মৃত্যু? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে এতাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরগঞ্জ গ্রামে। কিন্তু কেন এই আত্মহত্যা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই আজ সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মৃত ছাত্রের নাম মুজাফফর হোসেন। তাঁর বাড়ি মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরগঞ্জ গ্রামে। এদিন ওই পড়ুয়ার নিজেরই শোয়ার ঘোর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের বাবা গোলাম জাব্বার জানিয়েছেন, মুজাফফর মেডিক্যালের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ব্যাঙ্গালোরে ফার্মেসী নিয়ে পড়ত। পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল। শুক্রবার চারটের সময় হাটে বাজারে ট্রেন ধরে কলকাতা হয়ে ফ্লাইট ধরে ব্যাঙ্গালোর যাওয়ার কথাও ছিল। ব্যাগপত্র গোছানো অবস্থায় টেবিলে যেমন ছিল তেমনই পড়ে রয়েছে। আজ সকালে তাঁকে ডাকাডাকি করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করা হলেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় পরিবারের লোকদের সন্দেহ হয়। অবশেষে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা। ঢুকেই তাঁরা দেখেন, বিছানার চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে ওই পড়ুয়ার দেহ।

পরিবারের দাবি, কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা বা ঝামেলা হয়নি বাড়িতে। খুবই মিশুকে। কেন এই আত্মহত্যা তা নিয়ে তাঁরাও ধন্দে। এদিকে, ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধে। মানসিক অবসাদে মৃত্যু নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই তা থেকে জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।