শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

দোলের আগে করোনা সংক্রমণ রোধে নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের! কী রয়েছে দেখে নিন একনজরে

১০:৫৩ এএম, মার্চ ২৭, ২০২১

দোলের আগে করোনা সংক্রমণ রোধে নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের! কী রয়েছে দেখে নিন একনজরে

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একদিনে রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পার করে গিয়েছে। এর মধ্যে আবার কলকাতাতেই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াইশোর কাছাকাছি। তাই ভোটের মরশুমে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তা বাড়ছে ছাড়া কমছে না।

রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৬ জন। এর মধ্যে সবথেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতার। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৯ জন। এরপরেই স্থান রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার। সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। এই পরিস্থিতিতে রঙের উৎসবে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার বার্তা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।

নয়া নির্দেশিকায় একাধিক বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে। এবার দেখে নেওয়া যাক নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে- ১) কোনও জমায়েত বা শোভাযাত্রা না করাই সমীচীন। ২) দোল এবছর পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাক। ৩) শারীরিকভাবে কাছে গিয়ে রঙ বা আবীর মাখাবেন না। ৪) ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। ৫) দোকান, বাজার বা রেস্তোরাঁয় শারীরিক দুরত্ব-বিধি বজায় রাখুন। ৫) বৃদ্ধ, শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় থেকে দূরে রাখুন। ৬) মাস্ক না পরে বাইরে বেরোবেন না। ৭) বারবার সাবান জল বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে।

এদিকে রাজ্যে বিধানসভা ভোট উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি, জনসভা, মিছিল লেগেই রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ভিড়ও হয়। আর এখানেই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও প্রবল হয়।

রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন থেকে নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পরেও সংশয় এবং আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাছাড়া এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা সংক্রমণের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথাও কোথাও লকডাউন ঘোষণা করাও হয়েছে। স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথাও বলা হচ্ছে বিভিন্নমহল থেকে। এর মধ্যে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে হোলি বা দোল উৎসব পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হলেও, ভোট চলাকালীন সময়ে এবং তার পরবর্তী সময়ে সামগ্রিক করোনা চিত্রটা ঠিক কীরকম হয়, সেটাই এখন দেখার।