শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

উৎসবে মাতোয়ারা হুগলী জেলার সুগন্ধ্যার দোল পূর্ণিমার মেলা! জেনে নিন এর নেপথ্য ইতিহাসের হদিশ

০৩:১২ পিএম, মার্চ ২৯, ২০২১

উৎসবে মাতোয়ারা হুগলী জেলার সুগন্ধ্যার দোল পূর্ণিমার মেলা! জেনে নিন এর নেপথ্য ইতিহাসের হদিশ

গতকাল ছিল দোল। বাঙালির অতি পছন্দের বসন্তোৎসব। বসন্তের শুরুতে শীতের আড়ষ্টতা কাটিয়ে প্রকৃতি এদিন সেজে ওঠে নবরূপে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সামিল হয়ে ওঠে উৎসবের আনন্দে৷ দোলযাত্রা উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় বেশ কিছু মেলারও। তার মধ্যে অন্যতম ও সুপ্রাচীন হল, হুগলি জেলার সদর শহর চুঁচুড়া লাগোয়া সুগন্ধ্যার দোলের মেলা। দোলযাত্রা উপলক্ষ্যে সুগন্ধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে প্রতি বছর বসে এক মেলা। চলতি বছরে কোভিড পরিস্থিতির সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই সুগন্ধ্যা মাঠে বসেছে এই মেলা।

[caption id="attachment_8223" align="alignnone" width="1200"]উৎসবে মাতোয়ারা হুগলী জেলার সুগন্ধ্যার দোল পূর্ণিমার মেলা! জেনে নিন এর নেপথ্য ইতিহাসের হদিশ / নিজস্ব চিত্র উৎসবে মাতোয়ারা হুগলী জেলার সুগন্ধ্যার দোল পূর্ণিমার মেলা! জেনে নিন এর নেপথ্য ইতিহাসের হদিশ / নিজস্ব চিত্র[/caption]

এক সুপ্রাচীন কালাচাঁদ বা কৃষ্ণের মন্দিরকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা। সুগন্ধ্যার বসু রায় পরিবারের আদি বিগ্রহ ছিল শ্রী নাড়ুগোপাল। পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারণে তাঁদের পরিবার চার ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। তাঁরা তখন নিজস্ব বিগ্রহ স্থাপন করে দোল উৎসব পালন করতে থাকেন। এঁদের মধ্যেই কালাচাঁদ পরিবারের আর্থিক অবস্থার বিশাল উন্নতির ফলে তাঁদের জাঁকজমক বৃদ্ধি পায়। তাঁদের জমিদার বলেও আখ্যায়িত করা হয়। এরপর তাঁরাই এই দোল উৎসবটি শুরু করেন। তাই সুগন্ধ্যার দোল বলতে মানুষ এখনও কালাচাঁদের দোলকেই বোঝেন। নাড়ুগোপাল ও কালাচাঁদের পাশাপাশি শ্রী রাধাবিজয় গোপাল এবং শ্রী রাধাগোপালের দোল উৎসবও এখানে পালিত হয়। পরবর্তীকালে দোল উৎসবের পাশাপাশি তিন দিন ব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়।

[caption id="attachment_8222" align="alignnone" width="1200"]উৎসবে মাতোয়ারা হুগলী জেলার সুগন্ধ্যার দোল পূর্ণিমার মেলা! জেনে নিন এর নেপথ্য ইতিহাসের হদিশ / নিজস্ব চিত্র উৎসবে মাতোয়ারা হুগলী জেলার সুগন্ধ্যার দোল পূর্ণিমার মেলা! জেনে নিন এর নেপথ্য ইতিহাসের হদিশ / নিজস্ব চিত্র[/caption]

হাতা-কড়া-খুন্তির মতো সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে বাচ্চাদের খেলনা বা অলংকরণের বিভিন্ন উপাদান, কী থাকে না সেই মেলায়! বিনোদন হিসাবে রোলার-কোস্টার, ব্রেক-ডান্স বা নাগরদোলাও মজুত। রাত বাড়লেই ভিড় জমতে থাকে মেলার দোকানে দোকানে। পাশাপাশি এই তিন দিন সারা রাত ধরে যাত্রার অনুষ্ঠানও চলে। তবে কোভিডের কারণে চলতি বছরে বন্ধ যাত্রার অনুষ্ঠান।

পথনির্দেশ – চুঁচুড়া স্টেশনে নেমে অটো বা বাসে চেপে ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় সুগন্ধ্যা স্কুল মোড়ে। এখানেই গলির মধ্যে সুগন্ধ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের মাঠ সংলগ্ন এলাকাতেই আয়োজিত হয় এই মেলা।