শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

একসময় রাস্তায় শুয়ে কাটিয়েছেন দিন! এই যুবকই আজ ৩০০ কোটির মালিক

১২:২৯ পিএম, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১

একসময় রাস্তায় শুয়ে কাটিয়েছেন দিন! এই যুবকই আজ ৩০০ কোটির মালিক

সাফল্যের যে কোনো সহজ উপায়ে পৌঁছে যাওয়ার রাস্তা নেই একথা তো যুগে যুগে প্রমাণ হয়েছে মহাপুরুষদের দ্বারা। সাফল্যের জন্য চাই একমাত্র নিষ্ঠা, পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তি। এর জোরেই একজন সাফল্যের মুখ দেখতে পারে। যেকোনো বড়ো মানুষদের সফলতার কাহিনী পড়লে এই কথাই জানা গিয়েছে, কত জীবনের চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজ তার সাফল্যের চূড়ায়।

আজ তেমনই এক ব্যক্তির গল্প বলবো যিনি একমাত্র নিজের পরিশ্রমের দ্বারা জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে সাফল্য লাভ করেছেন জীবনে। আমেরিকার নিক মুকুট যিনি কিনা একসময় রাস্তায় রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন কিন্তু সেই তিনি বর্তমানে ৩০০ কোটির মালিক!

ভাগ্যের ওপর ছেড়ে না দিয়ে একমাত্র নিজের কষ্টের ফলে আজ এই সুদিন ফিরেছে তাঁর। নিক রোমানিয়া থেকে মাত্র ২১ বছর বয়সে আমেরিকাতে এসেছিলেন। ঠাকুমার দেওয়া ৫০০ ডলার ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ৩৭ হাজার টাকা তাই ছিল তাঁর পুঁজি। অল্প বয়সে এতো বোঝা সম্ভব হয়নি নিকের যে বাস্তবে আমেরিকাতে থাকতে গেলে কতোটা আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকতে হয়। যে ধারণা নিয়ে তার আমেরিকাতে আসা তা ক্রমে বদলাতে শুরু করে।

আমেরিকাতে প্রথম ট্যাক্সিতে ওঠার পর যখন ১০০ ডলার কেবলমাত্র ভাড়া হিসেবে মেটাতে হয়েছিল তখনই তার ভুল ভাঙ্গে। তারপর মাত্র ৪০০ ডলার অর্থাৎ ২৯ হাজার টাকা নিয়ে জীবনের লড়াই শুরু হয় তাঁর। সারাদিন ঘুরে ঘুরে কাজ খোঁজা শেষ করে রাস্তায় রাস্তায় কাটানো রাত্রিগুলো। এভাবেই চলছিল তাঁর জীবন। তারপর একটি পার্কিং লটে কাজ জুটিয়ে নিয়ে আধপেটা হয়ে থেকে দিন কাটতে থাকে। কিন্তু তাঁর লড়াই কখনও থামেনি।

কাজ করতে করতে নিজের চেষ্টায় নিক ভালো ইংরেজি বলতে রপ্ত করে ফেলেছিল। তার সাথে রিয়েল এস্টেটের লাইসেন্স জোগাড় করে ফেলেছিল সে। ২০১৩ সালে নিজের পরিচিত কয়েকজনকে নিয়ে অনলাইন ইলেকট্রিক জিনিসের ব্যবসা সে শুরু করে। অবশেষে এতদিন পরে মেলে তার এতদিনের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।

প্রথম মাসেই ব্যবসায় আয় হয় তাঁর ৩ লক্ষ টাকা। তারপর সাফল্যের রাস্তাটা মসৃণ হয়ে যায় নিকের কাছে। বর্তমানে তিনি আমেরিকার বুকে একাধিক ফ্ল্যাটের সাথে সাথে তিনটি বিলাসবহুল গাড়ির মালিক। সবমিলিয়ে তাঁর সঞ্চয় বর্তমানে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। তাঁর অপরাজেয় মানসিকতাই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের দোরগোড়ায়।