বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

যেসব হাসপাতাল মানুষের বিপদে ফায়দা তোলে সেগুলি বন্ধ হওয়া উচিত: সুপ্রিম কোর্ট

১২:৫৯ পিএম, জুলাই ২০, ২০২১

যেসব হাসপাতাল মানুষের বিপদে ফায়দা তোলে সেগুলি বন্ধ হওয়া উচিত: সুপ্রিম কোর্ট

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্তমানে দেশের হাসপাতালগুলি যেন লাভজনক শিল্পক্ষেত্রে রূপান্তরিত হয়েছে, সেখানে আর মানুষের সেবা হয় না। যেখানে মানুষের বিপদে ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হয়, তেমন হাসপাতালগুলি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। দেশের বর্তমান বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার নগ্ন রূপ তুলে ধরে এমনই বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের মতে, দেশের যেসব হাসপাতাল মানুষের বিপদের সুযোগ নিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করে, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়াই উচিত।

সোমবার দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসা, করোনায় মৃত রোগীদের সৎকার এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি এম আর শাহর ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘আমরা কি হাসপাতালগুলিকে রিয়েল এস্টেট শিল্প হিসাবে দেখি, না মানবতার সেবা হিসাবে?’ বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় বলেন, ‘মানুষের অসহায়তাকে কাজে লাগিয়ে, হাসপাতালগুলি যেন লাভজনক ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মানুসের জীবনের বিনিময়ে এভাবে হাসপাতালগুলির ফায়দা তোলার চেষ্টা বা তোলা বরদাস্ত করা হবে না। এই ধরনের হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া উচিত। সরকারের উচিত দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিসাধন করা।’

অন্যদিকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আচরণেও ক্ষুব্ধ বিচারপতি। বিচারপতি চন্দ্রচুড় বলেন যে, বেশ কয়েকটি হাসপাতাল অগ্নি নিরাপত্তার নিয়মাবলী ঠিকভাবে অনুসরণ করে না। একটি ঘটনার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন যে, ‘একজন রোগী বহু চিকিৎসার পর করোনা থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। পরের দিন তাঁর ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল। সেদিনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল। ওই ঘটনায় দু’জন নার্সেরও মৃত্যু হল। চোখের সামনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এই হাসপাতালগুলি কি মানুষের সেবা করছে? নাকি রিয়েল এস্টেট শিল্প?’

শুধু হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করাই নয়, গুজরাট সরকারেরও সমালোচনা করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। তার কারণ, ২০১৮ সালে মোদী গড়ে ৪০ টি হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক না থাকার অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে হাসপাতালগুলিকে তিরস্কার করে সে রাজ্যের হাইকোর্টেরও ভৎসর্নার মুখে পড়তে হয়। পরে গুজরাট সরকারই ওই হাসপাতালগুলির পক্ষে দাঁড়ায় এবং জানিয়ে দেয় যে, তাঁদের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক করার কোনও প্রয়োজনই নেই।