নিজস্ব প্রতিবেদনঃ পূর্ব মেদিনীপুরঃ গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আর শেষ রক্ষা হল না। গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে কীর্তিমান স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম মানিক পাত্র। তার বাড়ি ভগবানপুর থানার দয়ালচক গ্রামে। অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আট বছর আগে ভুপতিনগর থানার মাধাখালি গ্রামের কার্তিক দাসের ২৫ বছর বয়সী মেয়ে শম্পার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় অভিযুক্ত মানিক পাত্র। বিয়ের পর তাদের দুটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তারপর থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে গৃহবধূর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো ওই যুবক। আর সেই কাজে পুরোটা সহযোগিতা করতো মানিকের পরিবারের সদস্যরা বলে অভিযোগ।
এরপর গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর শাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার জানাজানি হতেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ভগবানপুর থানার পুলিশ এসে বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে কাঁথি হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠায়।