শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

হোটেলের শৌচাগারে গোপন ক্যামেরায় দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড দুই যুবকের! তারপর?

০১:৩৮ পিএম, নভেম্বর ২৩, ২০২১

হোটেলের শৌচাগারে গোপন ক্যামেরায় দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড দুই যুবকের! তারপর?

হোটেলের শৌচাগারে রাখা গোপন ক্যামেরা। আর সেই ক্যামেরায় তোলা হয়েছে কলকাতার এক দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল মালদার এক নামজাদা হোটেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত হোটেল মালিকের ছেলে সহ মোট তিন জনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হলেও, পরে মালিকের ছেলেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বাকি দু'জনকে সোমবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কৃষ্ণকালিতলা এলাকার এক নামী হোটেলে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ওই হোটেলে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। সেখানেই অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই কলকাতার ওই দম্পতি। স্বামী-স্ত্রী ওই হোটেলের ৩০৯ রুমে উঠেছিলেন। বিয়ের সব অনুষ্ঠান মিটলে রাত একটা নাগাদ তাঁরা শৌচাগারে যান। কিছুক্ষণ পর মহিলার স্বামী দেখতে পান, শৌচাগারের ভেন্টিলেটরে রাখা গোপন ক্যামেরায় তাঁদের ঘনিষ্ঠ ভিডিও ও ছবি তোলা হচ্ছে। এরপরই হোটেলে শুরু হয়ে যায় গোলমাল।

খবর পেয়ে রাতেই হোটেলে ছুটে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে হোটেল মালিকের ছেলে সহ মোট তিন জনকে আটক করা হলেও পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর মালিকের ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ওই দম্পতি ইংলিশবাজার থানায় ভোর সোয়া তিনটে নাগাদ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, হোটেল কর্তৃপক্ষের মদত ছাড়া রুমের বাথরুমে ক‍্যামেরা মোবাইল রাখা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। পুলিশের কাছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও তুলেছেন অভিযোগকারী ওই দম্পতি।

যদিও হোটেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। মালদা হোটেল ওনার্স সংগঠনও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মালদার হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, "ঘটনাটি শুনেছি। কলকাতার ওই দম্পতি যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। ওরা পাত্রপক্ষ ছিলেন। হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠানের পর ডাইনিং প্লেসে নাচানাচির সময় কেউ একজন মোবাইলে নাচ-গানের ছবি তুলছিলেন । আর সেই ঘটনা ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল। যারা ছবি তুলছিল তারা বাইরের লোক। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এখানে হোটেল কর্তৃপক্ষের কোনও দোষ নেই। শৌচাগারে যে গোপন ক্যামেরার কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।"