শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণ! পাশাপাশি নিম্নমুখী সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও

১১:২১ এএম, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণ! পাশাপাশি নিম্নমুখী সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে, দেশে করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে সংক্রমণ, আবার কখনও তা কমছে। এরই মধ্যে আবার সামনেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, উৎসবের মরশুমে করোনা নিয়ে বিশেষ সতর্ক কেন্দ্রের মোদী সরকার। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে জোর দেওয়া হচ্ছে করোনাবিধিতে। পাশাপাশি গতি বাড়ানো হচ্ছে টিকাকরণের উপর। এরই মধ্যে আবার কেরল, মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের সামান্য কমল দেশের করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গত কয়েকদিন ধরেই নিম্নমুখী করোনার অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৩৮২ জন। গতকালের থেকে সংক্রমণ কম। গতকাল দেশে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৯৯৩ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩১৮ জন। এই সংখ্যা গতকালের থেকে বেশি। গতকাল দেশে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা ছিল ২৮২ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৬৮ জন। তবে, সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রাখছে মহারাষ্ট্রের করোনা গ্রাফ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও স্বস্তি মিলেছে করোনার অ্যাকটিভ কেসে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের কমল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৬২ জন। গতকাল দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ১ হাজার ৬০৪ জন। করোনার বিরুদ্ধে আশার আলো দেখাচ্ছেন করোনাজয়ীরাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪২ জন। দৈনিক আক্রান্তের থেকে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৭৩ জন।

https://twitter.com/ANI/status/1441249750536232966

সবথেকে বেশি স্বস্তি দিচ্ছে আর ভ্যালু বা রিপ্রোডাকটিভ নম্বর কমায়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আগস্টের শেষে ১.১৭, সেখানে সেখানে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সেই পরিমাণ কমে হয় ০.৯২। এবার জেনে নেওয়া যাক কী এই আর ভ্যালু? একজন করোনা আক্রান্তের সংক্রমিত করার হার। যা একের উপরে থাকা মানে বেশ বিপজ্জনক। এবার তা অনেকটাই কমল। তবে মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে এখনও আর ভ্যালু একের থেকে বেশি বলেই জানা গিয়েছে। দিল্লি ও পুণেতে অবশ্য তা একের নিচে নেমেছে। পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউ রুখতে বদ্ধপরিকর সরকার তাই উৎসবের মরশুমে কড়া বিধিনিষেধ জারি করার পথে।

এদিকে, টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। এখনও পর্যন্ত ৮৪ কোটি ১৫ লক্ষ ১৮ হাজার ২৬ জন মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। যার মধ্যে গতকালই টিকা পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭২ লক্ষ ২০ হাজার ৬৪২ জন নাগরিক। তবে, টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৯৬ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।