মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

হিংসার মধ্যেই মণিপুর সফর! পৌঁছতেই আটকে দেওয়া হল রাহুল গান্ধীর কনভয়

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম | আপডেট: জুন ২৯, ২০২৩, ১১:৪৪ এএম

হিংসার মধ্যেই মণিপুর সফর! পৌঁছতেই আটকে দেওয়া হল রাহুল গান্ধীর কনভয়
হিংসার মধ্যেই মণিপুর সফর! পৌঁছতেই আটকে দেওয়া হল রাহুল গান্ধীর কনভয়

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২ দিনের মণিপুর সফরে গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার ইম্ফলে নেমেই চুড়াচাঁদ পুরের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু যাত্রা পথেই বাধার সম্মুখীন হন। মণিপুরের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় যাওয়া থেকে আটকানো হল তাঁকে। জানা গিয়েছে, ইম্ফল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুরের কাছেই আটকে দেওয়া হয় রাহুল গান্ধীর কনভয়।

কেন মণিপুর পুলিশ কেন রাহুলের কনভয় আটকেছে, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, হিংসা বিধ্বস্ত অগ্নিগর্ভ মণিপুরের এলাকাগুলি ঘুরে দেখতে ২ দিনের জন্য সে রাজ্যে পৌঁছেছেন রাহুল গান্ধী। এদিকে, এদিন ফের একবার ইম্ফল এবং কাংপোকপির সীমান্তে গুলি চলে। এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় মণিপুর পুলিশের দাবি, নিরাপত্তাজনিত কারণেই রাহুল গান্ধীর কনভয় থামানো হয়েছে।

তবে, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাত শিবির। কংগ্রেসের দাবি, ইচ্ছা করে আটকানো হয়েছে রাহুল গান্ধীর কনভয়। কংগ্রেসের দাবি, তিনি আক্রান্তদের কাছে গেলেই মণিপুরের আসল চিত্র প্রকাশ পারে, তাই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল বলেন, ‘রাহুল গান্ধী সেখানে যাওয়ার পরেই তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সেখানের সাধারণ বাসিন্দারা। তাঁকে স্বাগত জানতে রাস্তার দুপাশেই প্রচুর লোক দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ বলছে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে দেবে না। কেন আমাদের দলের নেতা কর্মী এবং রাহুল গান্ধীকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে তা বোধগম্য হচ্ছে না।’

এদিকে, রাহুলের কনভয় থামিয়ে দিতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে কেন্দ্র সরকার, বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই নিশানা করেছেন। তাঁদের তরফে দাবি, ‘মণিপুরের ডবল ইঞ্জিন সরকার রাহুল গান্ধীকে আটকে দিয়েছে। তাঁরা এবং প্রধানমন্ত্রী মানুষের জন্য কাজ করেন না। তাঁরা চান না যে রাহুল মণিপুরের সাধারণ মানুষের কথা শুনুন। না নিজেরা কাজ করব, না অন্যকে কাজ করতে দেব’।

সূত্রের খবর এদিন ইম্ফলে নেমেই চুড়াচাঁদপুর যাওয়ার কথা ছিল রাহুল গান্ধী। সেখানের একাধিক ত্রাণশিবিরে যাবেন তিনি বলে জানানো হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তারপরে বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাং এলাকায় গিয়েছে ঘরছাড়া বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রাক্তন এই কংগ্রেস সাংসদ। শুক্রবার, ইম্ফল এলাকার একাধিক ত্রাণশিবিরে যাওয়ার পাশাপাশি সেখানের একাধিক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেও জানানো হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।

মণিপুরে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক করেন অমিত শাহ। অন্যদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতিতে সেখানে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত মণিপুরে যাওয়া বলেও দাবি করা হয়। তবে, মণিপুরে হিংসার ঘটনায় সম্পূর্ণ নীরব প্রধানমন্ত্রী। আর মণিপুরের বাসিন্দাদের দাবি, সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে হস্তক্ষেপ করুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।