শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

অবিশ্বাস্য! ২ ঘন্টারও কম সময়ে ৩৬ টি বই পড়ে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলল এই একরত্তি!

০৮:৪১ পিএম, এপ্রিল ১২, ২০২১

অবিশ্বাস্য! ২ ঘন্টারও কম সময়ে ৩৬ টি বই পড়ে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলল এই একরত্তি!

বই পড়তে আমরা অনেকেই খুব ভালোবাসি৷ কে না জানি, বইয়ের মতো সেরা বন্ধু আর একটিও নেই! খুব অল্প বয়সেই বাবা-মা আমাদের মধ্যে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেউ কেউ বইকেই নিজের 'সারাজীবনের সঙ্গী' বানিয়ে ফেলি৷ তবে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা কোন পর্যায়ে গেলে শুধুমাত্র বই পড়েই আপনি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে তুলতে পারবেন? তাও আবার মাত্র ৫ বছর বয়সেই! আবুধাবি বাসিন্দা একরত্তি কিয়ারা কৌর তা-ই করে দেখিয়েছে।

বছর পাঁচেকের কিয়ারা মাত্র ১০৫ মিনিটে মোট ৩৬ টি বই পড়ে ফেলতে পারে। অর্থাৎ দু'ঘন্টারও কম সময়ে ৩৬ টি বই পড়ে ফেলে সে। আর তা করেই গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, লন্ডনের ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ড এবং এশিয়া বুক অফ রেকর্ডে নামও লিখিয়ে ফেলেছে কিয়ারা৷ এমনকি ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস তাকে 'চাইল্ড প্রোবিজি' বলে অভিহিত করেছে। কারণ মাত্র ৫ বছর বয়সেই সে জলজ্যান্ত এক 'বিবলিওফাইল'-এ পরিণত হয়েছে। বইয়ের প্রতি তার ভালোবাসা ঠিক এমনই।

চেন্নাইতে জন্ম হলেও মা-বাবার সঙ্গে বর্তমানে আবু ধাবিতেই থাকে ইন্ডিয়ান-আমেরিকান এই কন্যে। তার বই পড়ার এই নেশার পুরোটাই পাওয়া নিজের দাদুর থেকে। কিয়ারার বেড়ে ওঠার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। কাছে না থাকলেও নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ কলে নাতনির সঙ্গে বাক্যালাপ হয় তাঁর। কিয়ারাকে প্রতিদিন গল্পও শোনাতেন। তিনিই মেয়ের মনে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন একরত্তির মা। তাই এখন সে যখনই সময় পায়, বই পড়ে চলে। গাড়িতে হোক বা কোনও রেস্টরুম অথবা স্কুলে ক্লাসের ফাঁকে, কিয়ারাকে সবসময়ই দেখা যায় বই মুখ গুঁজেই বসে। অন্য কোনও দিকে তার আর কোনও নজরই নেই।

এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে কিয়ারা নিজে জানিয়েছে, বই পড়া অত্যন্ত আনন্দদায়ক। তার কারণ, আপনি নিজের পছন্দ মতো বই যে কোনও জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন। ফোনে বই পড়া বা ভিডিও দেখার সমস্যাটি হ'ল ইন্টারনেট না থাকলে তা পড়া যাবে না। কিন্তু বইয়ের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই। সে আরও বলে যে, সে এমন বই পছন্দ করে যেগুলিতে রঙিন ছবি এবং বড় বড় ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে। তার পছন্দের বইগুলির মধ্যে সিন্ডারেলা, অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড, লিটল রেড রাইডিং হুড অন্যতম।

এরপর তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, সে ভবিষ্যতে কী হতে চায়? তখন একরত্তি এই কন্যে জানিয়েছে, বড় হয়ে সে চিকিৎসক হয়ে সমাজের সেবা করতে ইচ্ছুক। সে আরও দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলুক, রইল অজস্র শুভকামনা।