শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

'রেলে বেসরকারি বিনিয়োগ হবে, বেসরকারিকরণ নয়', সংসদে কী বললেন পীযূষ গোয়েল? রইল ভিডিও

০৫:৫৫ পিএম, মার্চ ১৬, ২০২১

'রেলে বেসরকারি বিনিয়োগ হবে, বেসরকারিকরণ নয়', সংসদে কী বললেন পীযূষ গোয়েল? রইল ভিডিও

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেন্দ্রের মোদী সরকার একের পর এক সরকারি সংস্থা বেসরকারিকরণ করার পথে হাঁটছে। রেলও বাদ ছিল না তালিকা থেকে, তেমনটাই ছিল সূত্রের খবর। আর কেন্দ্রের এই বেসরকারিকরণ নীতির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব ছিল বিরোধীরা। কিন্তু এবার রেলের বেসরকারিকরণ কোনও অবস্থাতেই করা হবে না বলে সংসদে আশ্বাস দিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

অন্যদিকে এই আশ্বাসবাণীর পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, দক্ষ কার্যকারিতার সঙ্গে রেল যাতে কাজ করে যেতে সক্ষম হয়, তার জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে সমর্থন করা উচিত। এদিন সংসদে, রেলের আর্থিক অনুদানের দাবি সংক্রান্ত একটি বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দাবি করেন যে, বিগত ২ বছরে রেল দুর্ঘটনায় একজন যাত্রীরও মৃত্যু হয়নি। তিনি তথ্য উদ্ধৃত করে বলেন, রেল দুর্ঘটনায় শেষ মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। এর অন্যতম কারণ যাত্রী সুরক্ষায় পর্যাপ্ত নজর দিয়েছে রেল।

তিনি বলেন যে, সরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি যদি বেসরকারি ক্ষেত্রেও পরস্পরের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে শুরু করে, তাহলে দেশে বৃদ্ধির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হবে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান আরও বাড়বে দেশজুড়ে।

https://twitter.com/BJP4India/status/1371768555780247553

সংসদে দাঁড়িয়ে রেলমন্ত্রীর দাবি, রেলের বেসরকারিকরণ কখনই হবে না। রেল দেশের প্রত্যেক ভারতীয়র সম্পত্তি। সেটা তেমনই থাকবে। তার আশ্বাস রেলের নিয়ন্ত্রণ চিরকাল ভারত সরকারের হাতেই থাকবে। তিনি আরও জানান যে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রেলের বরাদ্দ ছিল ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। সেখানে ২০২১-২২ সালে তা বাড়িয়ে ২.১৫ লক্ষ কোটি টাকা করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। উল্লেখ্য, গত বছরই অক্টোবর মাসে একগুচ্ছ ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে ভারতীয় রেল।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ১২০ টি রুটে ১৫১ টি ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি-হাওড়া, হাওড়া-মুম্বই, মুম্বই-দিল্লি, দিল্লি-গুয়াহাটি, দিল্লি-চেন্নাই, চেন্নাই-হাওড়া এবং চেন্নাই-মুম্বই রুট ইত্যাদি। সূত্রের খবর, ওই সব রুটে ট্রেন চালাতে অনলাইনে আগ্রহপত্রও আহ্বান করা হয়েছিল রেলের পক্ষ থেকে। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে আইআরসিটিসি, ভেল, এলএনটি সহ মোট ১৫ টি সংস্থার আগ্রহপত্র খোলা হয়।

এদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। এদিকে রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, দেশে বেসরকারি ট্রেন চললে, বিনিয়গ বাড়বে, পরিষেবাও আরও উন্নত হবে। আসবে ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। কিন্তু রেলের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে রেলকর্মী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বেসরকারি হাতে ট্রেন গেলে, ইচ্ছে মতো ভাড়া বাড়াবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। তাই বৃদ্ধি পাওয়া ভাড়ায় নাজেহাল হবেন যাত্রীরা।