শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

আরও শক্তিশালী নিম্নচাপ! দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক দুর্যোগ, ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতিভারী বৃষ্টি এই জেলাগুলিতে

০৯:২৩ এএম, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১

আরও শক্তিশালী নিম্নচাপ! দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক দুর্যোগ, ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতিভারী বৃষ্টি এই জেলাগুলিতে

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একের পর এক নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। মাঝে সাময়িক বিরতি দিয়ে ফের শুরু হচ্ছে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় গুলাব ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়লেও বাংলায় এর তেমন প্রভাব পড়েনি। ইয়বে, ঘূর্ণাবর্তের জেরে মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বঙ্গোপসাগরের এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া।

আজ, বুধবার নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে। এর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে কলকাতাতেও। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে ২ মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। বৃষ্টির পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকায় বইবে ঝড়ো হাওয়া।

প্রবল বৃষ্টির সতর্কতার পাশাপাশি সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে আগামী দু'দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে দিঘায়। আগেই পর্যটকশূন্য করা হয়েছে সৈকতশহর। হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দিনভর দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। কখনও ভারী আবার কখনও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা জুড়ে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলিতে। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে, এমনটাই পূর্বাভাস।

এদিকে আজ কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ, ন্যূনতম ৮০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭২ মিলিমিটার।

অন্যদিকে, আজ ভোর ৪.১৫ থেকে সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত গঙ্গার লকগেট বন্ধ থাকায়, এই সময়ে শহরে ভারী বৃষ্টি হলে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে শহরে। এরপর ফের বিকেল পৌনে ৫টা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গঙ্গার লকগেট।কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, সন্ধে পৌনে ৭টা নাগাদ গঙ্গার জলস্তর হবে প্রায় সাড়ে ১৪ ফুট। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ তারিখ পরিস্থিতি খানিকটা ভালো হবে। সেই সময় বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। উত্তরবঙ্গে এখন আবহাওয়ার বড়সড় কোনও পরিবর্তনের আভাস নেই। তবে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে এখানেও।

বাজ পড়লে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বেশ কিছু সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে চাষের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামের মাটির বাড়ি ও কাঁচা রাস্তা ভেঙে পড়তে পারে। শহরের পুরনো বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সকলকেই নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য আগাম সর্তকতা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।