এ বছরও অতিমারী পরিস্থিতির কারণে মায়াপুর রাজাপুর থেকে রথযাত্রা বের হবে না। একইসঙ্গে এবার তিনটি আলাদা আলাদা রথে নয়, একই রথে সওয়ারী হবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। ১২ জুলাই সোমবার নদিয়ার মায়াপুর ইস্কন মন্দিরে অনাড়ম্বরভাবে অনুষ্ঠিত হবে রথযাত্রা।গত বছরও করোনা পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তদের উপস্থিতি ইস্কন চত্বরে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাদেবীকে নিয়ে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহকারে তিনটি সজ্জিত রথ পরিক্রমা করেছিল। এবার তা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ রাখা হয়েছে।
অন্য বছর মাসির বাড়ি থাকাকালীন জাঁকজমক ও ভক্তদের মধ্যে যে উন্মাদনা থাকে এবছর তা দেখা যাবে না।এবছর পঞ্চতত্ত্ব মন্দিরকেই জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। রথ চলাকালীন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মন্দির চত্বরে ভক্তদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। সেই সময় ইস্কনে প্রবেশের সমস্ত গেট বন্ধ থাকবে।
সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার না থাকলেও ভক্তরা বাড়িতে বসেই ভার্চুয়ালি রথ দেখতে পারবেন বলে ইস্কন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ইস্কন মন্দিরের গদাভবনে থাকা জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার ছোট বিগ্রহ বের হবে এবারের রথযাত্রায়। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে ৫০ জন ভক্ত এই রথযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন। সেখানে পূজারী এবং রথের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরাই কেবল থাকবেন। স্বল্প সময়ের জন্য এই অনুষ্ঠান হবে। ভিড় এড়াবার জন্য ইস্কন চত্বরে পুরোপুরি ঘুরবে না রথ। গদাভবন থেকে বের হয়ে ব্রহ্মচারী নিউ বিল্ডিং এবং সংকীর্তন বিল্ডিং হয়ে পঞ্চতত্ত্ব মন্দিরে আসবে। প্রায় দেড়শো থেকে আড়াইশো মিটার পথ অতিক্রম করে পঞ্চতত্ত্ব মন্দিরেই শেষ হবে। ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দির থেকে এবারও রথ বের হচ্ছে না। দেশ-বিদেশের ভক্তদেরও আসার প্রশ্ন নেই। তবে নিয়ম রক্ষার জন্য ইস্কন মন্দির চত্বরে সংক্ষিপ্ত আকারে রথযাত্রার বের করা হবে। সর্বসাধারণ ঘরে বসেই ভার্চুয়ালি রথযাত্রা দেখতে পারবেন। রথ চলাকালীন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মন্দিরের সমস্ত গেট বন্ধ থাকবে।