শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যেই দেওয়াল লিখে প্রচার শুরু করলেন শান্তিপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

০৬:৫৪ পিএম, মার্চ ২০, ২০২১

ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যেই দেওয়াল লিখে প্রচার শুরু করলেন শান্তিপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়াঃ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু এর মধ্যেই বিজিপি শিবিরে প্রার্থী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ কিছুতেই প্রশমিত হচ্ছে না। জেলায় জেলায় চলছে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ।

শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে ঘিরেও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ। কাল শান্তিপুর বিধানসভার প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের দাবিতে, জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়, পাশাপাশি রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়েও প্রতিবাদ করা হয়।

এদিকে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার কারণে নদিয়া দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক কমিটির প্রায় ১৭ জন গণপদত্যাগ পত্র জমা করেছেন সভাপতি অশোক চক্রবর্তী এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে। আর সেই ক্ষোভ স্তিমিত করতেই সাংসদ জগন্নাথ সরকার পৌঁছান রানাঘাট জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে। তিনি উপস্থিতি হলে, সেখানে তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন।

এরপর তিনি এই বিক্ষোভের মাঝেই শান্তিপুরে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে এসে প্রচার শুরু করেন। পথচলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। পথের পাশেই একটি দেওয়াল লেখার কাজ করছিলেন কর্মীরা। সেখানে তিনি নিজেই দেওয়ালে লেখেন নিজের নাম। তাঁকে নিয়ে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সব মিটে গেছে, সকলে আবার ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের প্রচারে। অন্যদিকে বিশেষ সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে, এত পদত্যাগপত্র জমা করার পর, অশোক চক্রবর্তী নিজেই অব্যাহতি চেয়েছেন দিলীপ ঘোষের কাছে। যদিও এ বিষয়ে অশোকবাবু কিন্তু মুখ খোলেননি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাশ্যে আসে শান্তিপুরের বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। গতকাল এবারের বিধানসভা নির্বাচনের শান্তিপুরের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি তুলে শান্তিপুরের ঘোড়ালিয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থকরা। প্রায় আধঘণ্টা ধরে এই অবরোধ হয়। বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, অবিলম্বে শান্তিপুর বিধানসভার প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে বাতিল করে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে হবে।

তাঁদের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয় যে, জগন্নাথ সরকার সাংসদ হলেও, বিগত দুই বছরে কখনও সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। শান্তিপুরবাসী চেনেনও না এই জগন্নাথ সরকারকে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে নেয়।