শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

গান্ধী জয়ন্তীতে ‘জাতির জনক’কে শ্রদ্ধা জানিয়ে, হিংসা বন্ধের পরামর্শ দিয়ে মমতাকে খোঁচা রাজ্যপালের

০১:১৬ পিএম, অক্টোবর ২, ২০২১

গান্ধী জয়ন্তীতে ‘জাতির জনক’কে শ্রদ্ধা জানিয়ে, হিংসা বন্ধের পরামর্শ দিয়ে মমতাকে খোঁচা রাজ্যপালের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের বিবাদ নতুন কোনও ঘটনা নয়, সুযোগ পেলেই একে অপরকে আক্রমণ করে থাকেন। এদিন গান্ধী জয়ন্তীতে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়েও মমতাকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সার্ধশতবর্ষ পেরিয়েছে ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধীর। অহিংসার বার্তাপ্রেরক গান্ধীর জন্মদিনেও বাদ গেল না রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী ‘টুইট যুদ্ধ’।

এদিন মহাত্মা গান্ধীর ১৫২ তম জন্মবার্ষিকীতে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার সঙ্গে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ক্ষেত্রে ফের একবার মমতাকেই নিশানা করলেন রাজ্যপাল। এদিন রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে গান্ধীর বার্তা স্মরণ করালেন। তাঁর অহিংস আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন। আর শেষে রাজ্যের হিংসার ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। এদিনের টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে রাজ্যপাল লিখেছেন যে, ‘গণতন্ত্র রক্ষায় হিংসা বন্ধ হওয়া খুবই জরুরি।’ তিনি লেখেন, ‘বাপুকে তাঁর যোগ্য সম্মান জানিয়ে তাঁর আদর্শায়িত শান্তি ও অহিংসার বাণীগ্রহণ, পালন ও অনুশীলন বিশ্বজুড়ে পাথেয়। গণতন্ত্র ও মানবিক সম্মান রক্ষার্থে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত রাজ্যে ঘটে চলা হিংসার ঘটনায় রাশ টানা।’

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1444123556061741058

এই টুইটের পর ওয়াকিবহাল মহলের মত, আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের সম্পর্ক আগের জায়গাতেই আছে, সম্পর্কের তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। তাছাড়া, তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস আসার পর, নবান্ন এবং রাজ্যপালের এই লড়াই আরও প্রকট হয়েছে।

বিশেষ করে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে হিংসা তদন্তের দায়ভার তুলে দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যাপালের এভাবে জেলা থেকে জেলা পরিদর্শন মোটেও ভাল চোখে দেখেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

তবে, উল্লেখযোগ্যভাবে, গত এক দেড় মাসে রাজ্যপালের টুইটে সেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিংবা পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে কোনও আত্মমনাত্মক লেখা সামনে আসেনি। বরং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানের ভিডিও টুইট করতেই বেশি দেখা গেছে। কিন্তু অতীতে বারবার রাজ্যের সমালোচনায় টুইট যুদ্ধতেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। প্লাটা জবাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যা নিয়ে নানা মহলে চর্চাও কম হয়নি। সেই পুরনো পথে হেঁটে একবার ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন ধনখড়।

এদিন ব্যারাকপুর গান্ধীঘাটে মহাত্মা গান্ধীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদেন করেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন যে, ‘গান্ধীজির পথ অনুসরণ করেই এ রাজ্যেও গণতন্ত্র বজায় রাখতে হবে। হিংসা ত্যাগ করতে হবে।’ এদিন তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।