সামনেই পুরভোট। এবারে কলকাতা পুরসভায় অন্যতম হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রের মধ্যে একটি হল ওয়ার্ড ৭৩। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের এই ওয়ার্ডে এবার হল প্রার্থী বদল। আনা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের এক সদস্যকে। চলতি বছরে ভবানীপুর বিধানসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর এরপরই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়লেন কাজরী।
শনিবার সকাল থেকেই ভোট যুদ্ধের প্রচারে দেখা গিয়েছে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের কিছু সমর্থক নিয়ে বলরামঘাট রোডে ঘরে ঘরে গিয়ে জনসংযোগ করেন তিনি। আসলে এই এলাকাতেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। বাপের বাড়িও এখানে। এক কথায় বলতে গেলে এলাকারই মেয়ে কাজরী। তাই প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হওয়ার পরই শনিবার জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতৃবধূ।
উল্লেখ্য, এর আগে ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে জিতেছেন রতন মালাকার। তবে শুক্রবার রাতে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, এবারে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কাজরী। এর আগে একাধিক স্থানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে। তবে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে পা রাখলেন এই প্রথম। রাজনৈতিক মহলের মতে, ঘাসফুলের প্রার্থী তালিকায় এটি অন্যতম বড় চমক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের ওয়ার্ডে তাঁরই ভ্রাতৃবধূ এবার প্রার্থী৷
সূত্রের খবর, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি এই ওয়ার্ড দেখাশোনার দায়িত্ব ভাই কার্তিককেও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১-এর উপনির্বাচনে, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫ হাজারেরও বেশি ভোটের ‘লিড’ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, উপনির্বাচনে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের প্রভাবেই পুরভোটে তাঁর স্ত্রী মনোনয়ন পেলেন।