শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বড়দিনের অন্যতম আকর্ষণ এই গাছ! ঠিক কবে থেকে শুরু হল 'ক্রিসমাস ট্রি' সাজানোর রীতি?

০৭:৪২ পিএম, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১

বড়দিনের অন্যতম আকর্ষণ এই গাছ! ঠিক কবে থেকে শুরু হল 'ক্রিসমাস ট্রি' সাজানোর রীতি?

রাত পোহালেই বড়দিন। আর বড়দিন মানেই সারাবাড়ি জুড়ে সাজানো সান্তাক্লজের পুতুল, ঝলমলে রঙিন টুনি লাইট আর ক্রিসমাস ট্রি। বড়দিনের সঙ্গে প্রায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ক্রিসমাস ট্রি। শুধু মাত্র ক্রিশ্চান ধর্মাবলম্বীরাই নন, সারা পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন ধর্মের, নানান মানুষ বড়দিনে তাদের বাড়ি সাজান ক্রিসমাস ট্রিতে। কিন্তু ঠিক কবে থেকে চালু হল এই প্রথা? কেনই-বা বড়দিনে সেজে ওঠে ক্রিসমাস ট্রি? আজ জেনে নেওয়া যাক সেই কাহিনীই।

ক্রিসমাস ট্রি আসলে ফার গাছ। মূলত দেবদারু জাতীয় উদ্ভিদ এটি। আজ থেকে বহু যুগ আগে উত্তর ইউরোপেই প্রথম শুরু হয় এই গাছ সাজানোর প্রথা। সেই সময় সুখ ও সমৃদ্ধির অন্যতম প্রতীক ছিল এই গাছ। ইউরোপীয়ানরা বিশ্বাস করতেন, বাড়িতে ফার গাছ লাগালে অশুভ শক্তি কাছে ঘেঁষতে পারবে না। ল্যাটভিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর এই প্রথা প্রচলিত ছিল। এর পরে জার্মানিতেও চালু হয় তা। এছাড়াও হাজার হাজার বছর আগে প্রাচীন পেগান ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই গাছ ছিল উপাসনার প্রতীক।

একটি পরিণত বয়সের ক্রিসমাস ট্রির দৈর্ঘ্য মোটামুটি ৬-৭ ফুট। ১৫ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে গাছটির পরিণত হতে। ইতিহাসবিদদের মতে, যীশু খ্রিস্টের জন্মের বহু অনেক আগে থেকেই ক্রিসমাস গাছ সাজানোর রীতি চালু ছিল। যিশু খ্রিস্টের জন্মের পরও তাঁর মা-বাবাকে চিরসবুজ এই গাছ সাজিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। তারপর থেকেই যীশুর জন্মদিন, বড়দিনে, এই গাছ সেজে ওঠে আলোর মেলায়। আজ অবধি চলে আসছে সেই প্রথা।

ষোলশো শতকে বড়দিনে জার্মানিতে প্রথম সেজে উঠেছিল আধুনিক ক্রিসমাস ট্রি। প্রোটেস্ট্যান্ট রিফর্মার মার্টিন লুথার প্রথম আলো দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন এই গাছ। আঠেরোশো শতক থেকে তা প্রায় গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জনপ্রিয়তার সেই শুরু। আর এখন? ফুল, রঙিন আলো, পুতুল, তারা, ঘন্টার সঙ্গে বিভিন্ন রকমের ফল এবং চকলেটে সেজে ওঠে এই ক্রিসমাস ট্রি। বড়দিন হয়ে ওঠে রঙিন।