শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি পেল ইডি

০১:০০ পিএম, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১

ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি পেল ইডি

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডের মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়েও জেরা করা যাবে। এমনটাই অনুমতি মিলেছে আদালতের তরফে। তদন্তের স্বার্থে দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করতে চেয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। স্পেশ্যাল কোর্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দেবাঞ্জনকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদনই মঞ্জুর হয়েছে। পুলিশি হেফাজতের শেষে জেল হেফাজতে গেলেই জেল কর্তৃপক্ষ জানাবে ইডিকে। তারপর জেলে গিয়ে জেরা করা হবে দেবাঞ্জন দেবকে।

ইডি স্পেশাল কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রয়োজনে যেকোনো সময় ইডির অফিসাররা তাঁকে জেরা করতে পারেন। উল্লেখ্য, এর আগে দেবাঞ্জনের সঙ্গীদের জেলে গিয়ে জেরা করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ অগস্ট ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে চার্জশিট পেশ করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে এক হাজার পাতার এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের পক্ষ দেওয়া চার্জশিটে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেব-সহ মোট সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে। খুনের চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, সম্মিলিত প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে দেবাঞ্জন দেব-সহ বাকিদের বিরুদ্ধে। চার্জশিটে নাম রয়েছে দেবাঞ্জন দেব, রবীন শিকদার, সুশান্ত দাস, শরৎ পাত্র, অরবিন্দ বৈদ্য, অশোককুমার রায়, কাঞ্চন দেব ও শান্তনু মান্নার। ১৩০ জন সাক্ষী রয়েছেন এই মামলায়।

এই জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে প্রথম তদন্ত শুরু করেছিল কসবা থানার পুলিশ। পরবর্তী সময়ে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার হাতে সেই তদন্তভার যায়। এখনও পর্যন্ত এই জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা যে তদন্ত চালিয়েছে, তাতে যা যা তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে, এদিন আদালতে তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের কী ভূমিকা ছিল, টিকার নামে যে ভুয়ো তরল দিনের পর দিন সাধারণ মানুষকে শিবির করে দেওয়া হয়েছে, তাতে মূলত কী ছিল তার সমস্ত খতিয়ে দেখা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। টিকার ভায়ালও পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২২ জুন কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর মধ্যে যদিও একটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। এরপর জুলাই মাসেই এই কাণ্ডের তদন্তভার যায় ইডি’র কাছে। কলকাতা পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পুলিশের কাছে দেবাঞ্জন-কাণ্ডের বিষয়ে একাধিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়।

ইডির তদন্তে উঠে আসে যে, বিপুল পরিমাণ টাকা আস্ত দেবাঞ্জন দেবের কাছে। সেই টাকার উৎস কোথায়, সেই টাকা কীভাবে ব্যবহার করা হত? এ সবই খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এফআইআর-এর সমস্ত কপি খতিয়ে দেখার পরই, দিল্লিতে ইডির বিশেষ কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনকে হেফাজতে নিতে পারে ইডি। তার আগে তদন্তের স্বার্থেই এই সব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।