শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

মিষ্টি মুখ, গায়ে কলকাতা পুলিশের উর্দি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করতেই নজরে সুন্দরী ‘ট্রাফিক সার্জেন্ট’

০৪:৩৬ পিএম, জুলাই ১৬, ২০২১

মিষ্টি মুখ, গায়ে কলকাতা পুলিশের উর্দি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করতেই নজরে সুন্দরী ‘ট্রাফিক সার্জেন্ট’

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রথমে ভুয়ো কেএমসি কর্তা তথা IAS দেবাঞ্জন দেব, ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকদের পর এবার পুলিশের নজরে কলকাতা পুলিশের রীতিমতো সুন্দরী মহিলা ট্রাফিক সার্জেন্ট। ওই মহিলা অফিসারের নাম সুলগ্না ঘোষ।

ঠোঁটে টকটকে লাল লিপস্টিক, চোখে সানগ্লাস, একেবারে ঝাঁ চকচকে নায়িকা সুলভ চেহারা। আর পরনে ট্রাফিক সার্জেন্টের পোশাক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিগত কয়েকদিনে এই মহিলা সুন্দরী ট্রাফিক সার্জেন্টের ছবি রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এরই মধ্যেই একটি মামলা দায়ের হয় কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে। এরপরই এই মহিলা পুলিশের আসল পরিচয় সামনে আসে। পর্দা ফাঁস হয় মহিলা ‘পুলিশ কর্তার’।

দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর থেকেই আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্যে একাধিক ভুয়ো সরকারি আধিকারিকের খোঁজ মিলতে শুরু করেছে। আবারও একবার কলকাতা শহরের বুকেই খোঁজ মিলল ভুয়ো মহিলা পুলিশের। শুধু মিথ্যে পরিচয়ই নয়, কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রকে ‘বাবা’ বলেও সম্বোধন করেছেন তিনি। এদিকে পুরো ঘটনা সামনে আসতেই, ভুয়ো পুলিশ অফিসার সুলগ্না ঘোষের বিরুদ্ধে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে নিজের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন বিক্রমগড়ের বাসিন্দা সুলগ্না। যদিও পরে সেইসব ছবি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলিটও করে দেন তিনি। কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দর বাড়াতেই কী এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই তরুণী? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এখন এই বিষয়গুলিই সুলগ্নাকে জেরা করে জানতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

আবার অন্যদিকে সূত্রের খবর, তরুণীর বিরুদ্ধে প্রতারণার কোনও অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। কেন সুলগ্না পুলিশ কমিশনারকে নিজের বাবার পরিচয় দিয়েছিলেন, সেটাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, তরুণীর মা দাবি করেছেন যে, তাঁর মেয়ে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। মডেলিংও করেন। একাধিক নাটকেও নাকি অভিনয় করেছেন। আর কাজের সূত্রেই বিভিন্ন সময়ে তাঁকে নানা ধরেনের পোশাক পরতেও হয়। তাই ভালোলাগার জায়গা থেকেই পুলিশের পোশাক পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়েছিলেন তিনি।

তরুণীর মায়ের এই যুক্তির পরেও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই যুক্তিকে সত্যি বলে যদি ধরেও নেওয়া হয়, তাহলে সুলগ্না কেন পুলিশ কমিশারকে নিজের বাবা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের এখনও কোন সদুত্তর মেলেনি। তবে, ইতিমধ্যেই সুলগ্নাকে থানায় ডেকে সতর্ক করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। উল্লেখ্য, সুলগ্নার ফেসবুক বন্ধুর তালিকায় একাধিক ট্রাফিক সার্জেন্ট রয়েছেন।