দ্বাদশীতে গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ! পরিচয় জানার চেষ্টায় পুলিশ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দ্বাদশীতে গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার হল দুই অজ্ঞাতপরিচয় মাঝবয়সী ব্যক্তির দেহ। এই দুই ব্যক্তির মধ্যে একজনের দেহ ভেসে ওঠে কাশীপুর ঘাটে, আর অপরজনের দেহ ভেসে ওঠে বাজা কদমতলা ঘাটে। পরে বাজা কদমতলা ঘাটেই ওই দেহ দুটি টেনে এনে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দ্বাদশীর সকালে দেহ দুটি গঙ্গায় ভেসে থাকতে দেখেন ঘাটে আসা কয়েকজন ব্যক্তি। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর ডুবুরি নামিয়ে দেহ দুটিকে উদ্ধার করা হয়। দেহ দুটি উদ্ধার করে বাজা কদমতলা ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই ব্যক্তির বয়স ৫০-৫৫-র মধ্যে হবে বলেই পুলিশ জানিয়েছে।

তবে, এখনও পর্যন্ত ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাও এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই দুটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। আশেপাশের থানাগুলিতেও খবর দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনও নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে, দুর্গাপুজো বিসর্জনের সময়ে কোনোভাবে গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারেন ওই দুই ব্যক্তি। আবার মদ্যপ অবস্থায় নদীতে নামতে গিয়েও বিপত্তি ঘটতে পারে। জানা গিয়েছে যে, ওই দুই ব্যক্তির শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্নই নেই। তবে, দীর্ঘক্ষণ জলে থাকার কারণে শরীর ফুলে উঠেছে, সাদা হয়ে গিয়েছে।

মৃত দুই ব্যক্তির প্যান্টের পকেট থেকে কোনও কাগজ বা নথি পাওয়া যায় কিনা তা দেখছে পুলিশ। কারণ এর ভিত্তিতে কোনও সূত্র বা তাঁদের পরিচয় জানা গেলেও যেতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। উদ্ধার হওয়া দুই ব্যক্তি আশেপাশের এলাকার কিনা তাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী, তাঁরা কেউই স্থানীয় বাসিন্দা নন।

উল্লেখ্য, দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের পরে এখন বিভিন্ন ঘাটে পরিষ্কারের কাজ চলছে। মনে করা হচ্ছে, কাঠামোর নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন ওই দুই ব্যক্তি। কাঠামো জল থেকে তুলে নেওয়ার পরই দেহ দুটি ভেসে ওঠে ঘাটে। সকালে ঘাটা আসা ব্যক্তিদের চোখে পড়ে দুই ব্যক্তির দেহ। আপাতত উদ্ধার হওয়া দুই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আশেপাশের থানাগুলিতে উদ্ধার হওয়া দুটি দেহের ছবিও পাঠানো হয়েছে, তাঁদের পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে।