করোনা আতঙ্কে কার্যত জেরবার গোটা দেশ। দিনের পর দিন চড়ছে করোনার গ্রাফ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। এরই মধ্যে সারা দেশে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে হাসপাতালের বেড বা ভ্যাকসিনের। অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটরও অমিল। এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার কমতি নেই। গত ২৪ ঘন্টার সারা দেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২.৯৪ লক্ষ৷ মারা গিয়েছেন ২০২০ জন৷ এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরাও। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় কোনও রকম ত্রুটি না রাখলেও উপযুক্ত বিকল্পের অভাবে হাল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরাও।
দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ভাইরাল হল এক কোভিড চিকিৎসকের ভিডিও। যা জানান দিয়ে যাচ্ছে, ঠিক কতটা অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন সারা দেশের করোনা যোদ্ধারা। ভিডিওটিতে ইনফিশিয়স ডিজিস ফিজিশিয়ান তৃপ্তি গিলাডা কাঁদতে কাঁদতে জানাচ্ছেন, অন্যান্য চিকিৎসকদের মতো তিনিও খুব অসহায়। মুম্বইয়ের পরিস্থিতি খুব খারাপ৷ সেখানে হাসপাতালে কোনও জায়গা নেই৷ আইসিইউতেও কোনও জায়গা নেই৷ এমন পরিস্থিতি এর আগে কেউই কখনও দেখেননি। চিকিৎসকদেরও কোনও উপায় নেই আর।
[embed]https://twitter.com/Pbndtv/status/1384500851624976390?s=20[/embed]তিনি আরও জানিয়েছেন, এর আগে কখনও এরকম হয়নি যে একসঙ্গে এত লোকের চিকিৎসা করতে হচ্ছে৷ প্রচুর মানুষকে বাড়িতে অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে৷ এছাড়াও অন্যায্য কিছু মানুষ বেড দখল করে রাখায়, যাঁদের সত্যিই প্রয়োজন তাঁরা বেড পাচ্ছেন না। তাই অযথা প্যানিক করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তৃপ্তি। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, যাঁরা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের হার কিছুটা কম৷ তাঁদের হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজনই পড়ছে না। তাই করোনা সংক্রমণ রুখতে যে ভ্যাকসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা বেশ স্পষ্ট।
পাশাপাশি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তৃপ্তি বার্তা দিয়েছেন, এই সময় চিকিৎসকেরা মানসিক ভাবে খুবই অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। তবুও তাঁরা নিজেদের কাজ করে যাচ্ছে। তাই তাঁদের কথা ভেবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ওই চিকিৎসক। সেই সঙ্গে এও বলেছেন, গত এক বছরে যদি আপনার করোনা না হয় তাহলেও নিজেকে সুপার হিরো ভাববেন না। অথবা ভাববেন না আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দারুণ৷ এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা৷ যে কোনও মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন আপনিও৷ তাই এই অবস্থায় তৃপ্তির আর্ত আবেদন, আপনাদের নিজেদের হাতেই রয়েছে সুরক্ষা। তাই নিজেরাই নিজেদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা রাখার চেষ্টা করুন।