শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার! মাদ্রাজ হাইকোর্টের

০৩:২০ পিএম, এপ্রিল ২৬, ২০২১

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার! মাদ্রাজ হাইকোর্টের

দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তখনও নিয়মিত জনসভা করে গিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। যার ফলে শিকেয় উঠেছে সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ মুখেই ছিল না মাস্কও। দেশে যখন করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী, তখন রাজনৈতিক জমায়েতের জন্য অনুমতি দেওয়ায় কমিশনকে তীব্র সমালোচনায় বিঁধল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, করোনা বিধি মানা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা না করলে আগামী ২ মে ভোটগণনা আটকে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

দেশে লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে করোনা৷ এই অবস্থায় কমিশনের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আদালতের দাবী, "করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য একমাত্র নির্বাচন কমিশনই দায়ী" এদিন নির্বাচন কমিশনকে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, "যখন নির্বাচনী সমাবেশ হচ্ছিল, তখন কি আপনারা অন্য গ্রহে ছিলেন?"

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কোভিড প্রোটোকল নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন। গণনার দিন কোভিড প্রোটোকল মানা নিয়ে কী ভাবছে কমিশন? মানুষ বেঁচে থাকলে তবেই গণতান্ত্রিক অধিকার উপভোগ করতে পারবে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কীভাবে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে, তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানাতে হবে কমিশনকে।" এমনকি সঠিকভাবে পদক্ষেপ না নিলে ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি জানান বিচারপতি।

এরপরই আসন্ন ভোটগণনা প্রসঙ্গে বিচারপতি জানান, "প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। নিয়মিত জীবাণুমুক্তকরণ করতে হবে। বজায় রাখতে হবে পরিচ্ছন্নতা। ভোটকর্মীদের মাস্ক পরা যেমন বাধ্যতামূলক, তেমনই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। তবেই গণনা করতে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।’’ নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভোটগণনা কেন্দ্রে কোভিড বিধি অনুযায়ী কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার রূপরেখা জমা দিতে বলা হয়েছ। আদালতের পরবর্তী শুনানি হবে ৩০ এপ্রিল। ওই দিনই পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হবে। সব বিষয়ে আদালত সন্তুষ্ট হলে তবেই ২ মে গণনা করতে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।