বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিদেশের পাশাপাশি দেশেও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে করোনা সংক্রমণের হার। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত প্রশাসনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করেই, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নয়া নিয়ম জারি করছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আগামী মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ, ১ এপ্রিল থেকেই এই নতুন নিয়ম লাগু হবে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এই নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। এই নতুন নির্দেশিকা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
https://twitter.com/PIBHomeAffairs/status/1374322436640890880কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা এই নতুন নির্দেশিকায় মূলত টেস্ট ট্র্যাক ট্রিট প্রোটোকলের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যাতে এই নিয়ম মেনে চলে, তার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সকলে যাতে প্রতিষেধক পান, তার দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ যেভাবে বা উপায়ে হয়েছে, সেই পথেই হাঁটছে কেন্দ্র।
এবার দেখে নেওয়া যাক কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে-
প্রথমত- যে সব এলাকায় পরীক্ষার হার কম, সেই সব এলাকায় পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে।
দ্বিতীয়ত- করোনা পরীক্ষায় কেউ আক্রান্ত ধরা পড়লে, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেই সঙ্গে চিকিৎসাও শুরু করতে হবে।
তৃতীয়ত- আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে, তাঁদেরও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে।
চতুর্থত- করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে হবে এবং তা জেলাশাসক অথবা জেলা কালেক্টরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
পঞ্চমত- সাধারণ মানুষ যাতে জাতীয় করোনাবিধি মেনে চলেন, তার দিকে নজর দিতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। বিশেষ করে, অফিস, স্কুল-কলেজের দিকে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
ষষ্ঠত- মাস্ক না পরলে, হাত পরিষ্কার না করলে, অথবা সামাজিক দূরত্ববিধি না মানলে, জরিমানা ধার্য করারও নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
এই সব নিয়মের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে যে, এই মুহূর্তে দুই রাজ্যের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা থাকবে না এবং কনটেইনমেন্ট জোন এলাকার বাইরে সমস্ত কাজ স্বাভাবিকই থাকবে।