বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

রাজ্যে করোনাগ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত! ফের সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা

০৭:৫১ পিএম, জুলাই ২৭, ২০২১

রাজ্যে করোনাগ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত! ফের সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারির সুফল মিলছে। ক্রমশ সুস্থতার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট। তবে, রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ওঠানামা অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ফের সামান্য বাড়ল। তবে, সামান্য হলেও কমল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।

স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৬২ জন। গতকালের থেকে সংক্রমণ সামান্য বেশি। গতকাল রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৫৭ জন। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ জন। আগের দিনের তুলনায় এই জেলায় সামান্য হলেও বেড়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। একদিনে সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৪ জন। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন। তাছাড়া বাকি সব জেলা থেকেই এদিন কমবেশি নতুন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ফলে, রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫৮ জন।

স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। মৃত্যুর নিরিখে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে জলপাইগুড়ি জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৫ জন।

অন্যদিকে, একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে এসেছেন ৮৩৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার থেকে অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৮.০৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ১১৩ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৫৮ জনের। উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য। তবে, পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা সরবরাহ না হওয়ায়, মাঝেমধ্যেই বন্ধ রাখতে হচ্ছে টিকাদান কেন্দ্রগুলি।