বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

করোনা টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকার প্রথম ডোজ নিলেন ৪ লক্ষের বেশি মানুষ

১১:১৪ এএম, মার্চ ২, ২০২১

করোনা টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকার প্রথম ডোজ নিলেন ৪ লক্ষের বেশি মানুষ

বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার থেকেই দেশে শুরু হয়ে গেছে করোনা টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়। প্রথম দিনই করোনার টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির AIIMS বা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স থেকে তিনি টিকা গ্রহণ করেছেন। নিজেই সেকথা টুইট করেও জানিয়েছেন।

একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা টিকা নিয়েছেন। মঙ্গলবারও কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের অনেকেরই টিকা নেওয়ার কথা। এদিকে সূত্রের খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা টিকা করণের প্রথমদিনেই দেশে করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৪ লক্ষ ২৭ হাজার ০৭২ জন। এঁরা করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

এর জেরে ১৬ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিড ১৯-এর ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৬৯ ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু সোমবারই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা টিকা নিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

করোনা টিকা করণের দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছিলেন যে, ‘AIIMS-এ কোভিড ১৯ এর টিকার প্রথম ডোজ নিলাম৷ আমাদের চিকিৎসকেরা এবং বিজ্ঞানীরা যেভাবে কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কম সময়ে অসাধারণ কাজ করেছেন তা উল্লেখযোগ্য। সকলকে কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি৷ দেশকে কোভিডমুক্ত করতে এটা অত্যন্ত জরুরি৷’

https://twitter.com/narendramodi/status/1366200664402006016

উল্লেখ্য, করোনা টিকাকরণ দেওয়া শুরু হয়েছিল স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্স প্রভৃতি প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের দিয়ে। আর এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক এবং ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তি, যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদেরও টিকা দেওয়া হবে। সম্প্রতি করোনা টিকা নিয়ে কেন্দ্রের ঘোষণায় আপাতত সরকারি কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলবে।

১ মার্চ থেকে করোনার দ্বিতীয় দফার টিকা করণ শুরু হয়েছে। ১০ হাজার সরকারি এবং ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে দেওয়া হবে এই করোনার টিকা। সরকারি ক্ষেত্রে এই টিকা পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে, বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে এই টিকা নিতে গেলে দিতে হবে টাকা।

সরকারের তরফে ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। টিকাকরণের সময় বয়সের প্রমাণপত্র (আধার কার্ড বা EPIC কার্ড) দেখাতে হবে। এছাড়া কো-মর্বিডিটি থাকলে তার তথ্যও দেখাতে হবে। এই করোনা টিকা নিতে গেলে, আগে থেকে কো-উইন ০.২ (Co-WIN 2.0) অ্যাপের মাধ্যমে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করানো যাবে। এছাড়াও আরোগ্য সেতুর মতো অ্যাপের মাধ্যমেও করোনার টিকা নিতে আগাম নাম নথিভুক্ত করা যাবে। এই অ্যাপগুলির মাধ্যমেই সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার টিকাকরণ কবে হবে এবং তার সময় জানা যাবে। অন্যদিকে আবার টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়েও এই রেজিস্ট্রেশন করানো যাবে। সরকারি ক্ষেত্রে টিকা নিতে গেলে, কোনও টাকা দিতে হবে না। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে টিকা নিতে গেলে, লাগবে ২৫০ টাকা।