নিজস্ব প্রতিনিধি, নদীয়াঃ ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এক মহিলার সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে অশালীন কথাবার্তার পোস্টার পড়ল নদীয়া জেলা জুড়ে।
নদীয়ার রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সঙ্গে একজন মহিলার হোয়াটসঅ্যাপ-এ কথাবার্তার ছবি দিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টার পড়ল। ওই পোস্টারে জগন্নাথ সরকারের ছবি ছাপিয়ে, তাঁকে ‘চরিত্রবান আখ্যা’ দিয়ে লেখা হয়েছে, জগন্নাথ সরকার এবং তাঁর বন্ধুদের মেগা ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব খুব শীঘ্রই আসছে। ওইসব পোস্টারে এক মহিলার ছবিও ছাপা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই মহিলার সঙ্গে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং-এর কথোপকথনের বিষয়টি এর আগেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তোলপাড় হয়। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়ার হবিবপুরের ছাতিমতলার মাঠে জনসভা করতে এসে জগন্নাথ সরকারের নাম না করে ব্যাঙ্গার্থক ইঙ্গিত করেছিলেন। যদিও ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং-এর সত্যতা আমাদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সোমবার, অর্থাৎ আজ জেলার নবদ্বীপ, হবিবপুর, বাদকুল্লার মামজোয়ান প্রভৃতি কয়েকটি জায়গায় ওই ধরনের পোস্টার চোখে পরে অনেকেরই।
তবে, এ বিষয়ে জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, ‘বর্তমানে কম্পিউটারের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কারোর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং তৈরি করা হয়। এটা কোনও বিষয়ই নয়। আমার নামে কোনও অভিযোগ নেই। এ বিষয়ে কোনও প্রমাণ নেই।’ নাম না করে তৃণমূলকে ইঙ্গিত করে জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘ওরা আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে এঁটে উঠতে পারছে না। এর আগেও মিথ্যা কেস দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। বিধানসভা ভোটের আগে, আবার এই ধরনের মিথ্যে পোস্টার লাগিয়ে আমার নামে ও আমার দলের নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ আমার সঙ্গে আছে।’
https://youtu.be/MEhaiPx2IBA
এদিকে জগন্নাথ সরকারের ইঙ্গিত প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দাবি, এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।