শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

দলের সঙ্গেই ভোল বদল মুকুলের টুইটারেও! 'আর নয় অন্যায়' রাতারাতি মুড়ল নীল-সাদায়

১১:২০ পিএম, জুন ১১, ২০২১

দলের সঙ্গেই ভোল বদল মুকুলের টুইটারেও! 'আর নয় অন্যায়' রাতারাতি মুড়ল নীল-সাদায়

দলবদলের সঙ্গে সঙ্গেই রাতারাতি বদল হলো টুইটারের চালচিত্রও। দুপুরেও যে টুইটার ছিল আর নয় অন্যায় শ্লোগানে ভরা, সন্ধে হতেই তার রঙ বদলে হল নীল-সাদা। তৃণমূলে যোগদান এর পরেই সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল মুকুল রায়ের টুইটার হ্যান্ডেল। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলও হচ্ছে প্রচুর। তবে সেই সব কিছুতে কর্ণপাত না করে আপাতত পুরনো দলেই মনোনিবেশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি।

এদিন বিকেল সাড়ে চারটের কিছু পরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করেন মুকুল রায় এবং তার পূত্র শুভ্রাংশু রায়। বিজেপিতে থাকাকালীন আক্ষেপের পাশাপাশি পুরনো দলে ফিরে ফিরে এসে আবেগ প্রকাশ করেন তৃণমূলের এই চাণক্য।

এর পরেই এদিন সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ রাতারাতি বদলে যেতে দেখা যায় তার টুইটার হ্যান্ডেল। যেখানে এতদিন বিজেপি নেতা হিসেবে তার পরিচয় লেখা ছিল, সেখানেই এখন উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে তৃণমূল নেতা লেখা। একইসঙ্গে টুইটারের কভার ফটোতে দেখা যাচ্ছে আজকের অনুষ্ঠানে যোগদানের ছবি।

যদিও টুইটারে খুব একটা দৃশ্যমান নয় মুকুল রায়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে টুইটারে তার সক্রিয়তা আরো কমেছে। বৃহস্পতিবার চলচ্চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যুতে শেষ টুইট করেছিলেন তিনি। তার আগে অবশ্য 13 মে কৈলাস বিজয়বর্গীয় জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন মুকুল রায়। তবে সেটাই ছিল এতদিন পর্যন্ত তার টুইটার এর শেষ পোস্ট।

https://twitter.com/MukulR_Official/status/1392742879370514434

কিন্তু বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই মুকুল রায়ের ঘরওয়াপসির সম্ভাবনা যখন ঘনিয়ে উঠেছিল তখন নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন, "রাজ্য গণতন্ত্র ফেরাতে বিজেপির সৈনিক হিসেবে আমার লড়াই চলবে। আমি সকলকে কল্পনা আর অনুমান করা বন্ধ করার অনুরোধ করছি। আমার রাজনৈতিক পথ নিয়ে সংকল্পে অবিচল আমি"।

https://twitter.com/MukulR_Official/status/1390946966427734018

কিন্তু নিজের সেই কথাকে কার্যত মিথ্যে প্রমাণ করে শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত থেকে উত্তরীয় পরিয়ে ফের ফিরে এলেন পুরনো দলে। আর সেইসঙ্গেই বিজেপিতে থেকে তিনি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন বলেও মন্তব্য করলেন। একসময় যে গেরুয়া শিবিরের জন্য রাজনীতির হাতেখড়ি পর্যায়ের সহযোদ্ধার নিন্দে করেছিলেন আজ ফের একবার পুরনো দলে যোগ দিয়ে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সুখ্যাতি শোনা গেল তার গলায়।