শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নিউটাউন পর্ণগ্রাফি কাণ্ডে নয়া মোড়! কোর্টে যাওয়ার পথে মুখ খুললেন ধৃত নন্দিতা ও মৈনাক

০৫:৪১ পিএম, আগস্ট ২, ২০২১

নিউটাউন পর্ণগ্রাফি কাণ্ডে নয়া মোড়! কোর্টে যাওয়ার পথে মুখ খুললেন ধৃত নন্দিতা ও মৈনাক

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিউটাউন পর্নগ্রাফি কাণ্ডে নয়া মোড়! এদিন নিউটাউন পর্নগ্রাফি কাণ্ডে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় মুখ খোলেন ধৃত নন্দিতা ও মৈনাক। পাশাপাশি ধৃত ফটোগ্রাফার শুভঙ্কর দে'কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সামনে এল নয়া তথ্য।

এদিন ধৃত নন্দিতা জানান যে, ‘পর্নগ্রাফি কাণ্ড বলে যে এতো চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছে, আমি প্রথমেই জানতে চাই এর সংজ্ঞাটা ঠিক কী?’ তিনি বলেন যে, তাঁরা কোনও পর্নগ্রাফি ভিডিও করেননি। তাঁর এও দাবি, ন্যুড শ্যুট করা হয়েছিল, আর তা যদি পর্নগ্রাফি হয়, তাহলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যে এতো ন্যুড শ্যুট হচ্ছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? তাঁর প্রশ্ন, তাঁদেরকেও তাহলে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? নন্দিতা এও হুঁশিয়ারি দেন যে, তাঁদের বিরুদ্ধে যে ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন। এই একই সুর শোনা গেল মৈনাকের গলাতেও। তাঁরও প্রশ্ন আগে পর্নগ্রাফির সংজ্ঞা ঠিক করা হোক।

[caption id="attachment_24669" align="alignnone" width="1332"] নিউটাউন পর্নগ্রাফি কাণ্ডে ধৃত নন্দিতা দত্ত[/caption]

গত ২৯ জুলাই দমদম থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। ওইদিন দুজনকেই বারাসাত আদালতে তুলে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আদেশ দেন বিচারক। ধৃত নন্দিতা দত্ত এবং মৈনাক ঘোষের এই ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে, এদিন ফের তাঁদের বারাসাত আদালতে তোলা হচ্ছে। পুলিশ সুত্রে খবর, ধৃত মৈনাক ঘোষকে ফের একবার পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত ফটোগ্রাফার শুভঙ্কর দে’কে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, নন্দিতা এবং মৈনাক তাঁকে মেমোরি চিপ দিত। শ্যুট হয়ে গেলে, আবার তাঁরা শুভঙ্করের কাছ থেকে মেমোরি চিপ নিয়ে নিত। তবে, এই ভিডিও গুলি বিভিন্ন সাইটে আপলোড করা নিয়ে এখনও বিশদে তাঁরা কিছুই জানায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাই মৈনাক ঘোষকে ফের নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠতি মডেলদের টার্গেট করা হত। বিদেশের ওটিটি অ্যাপে কাজের সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার নাম করে হোটেলে ডাকা হত। এরপরই জোর করে, হুমকি দিয়ে করানো হত পর্নগ্রাফি ভিডিও। এভাবেই নিউটাউনের তিন তারা হোটেলে অবাধে চলত পর্নগ্রাফির শুটিং। এদেরই চক্রান্তের শিকার হন নিউটাউনের এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী। ওই যুবতীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয় একজন ফটোগ্রাফারের। সেখানেই ফটোশুটের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই যুবতীও গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের চোখ ঝলসানো আলো আর খ্যাতির সুযোগের হাতছানি হাতছাড়া করতে চাননি। এরপর যোগাযোগ করা হলে, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বালিগঞ্জের একটি বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, শাড়ির ফটোশুট নয়, তাঁকে করতে হবে নগ্ন ফটোশুট। জানতে পেরে তিনি ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও, তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়। এরপরে জোর করেই অর্ধনগ্ন করে করানো হয় ফটোশুট।

একই ধরনের ঘটনা ঘটে আরও এক উঠতি মডেলের সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচয়ের পরে তাঁকে আসতে বলা হয় নিউটাউনের একটি তিন তারা হোটেলে। সেখানে ৮ তলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দিয়ে জোর করে করানো হয় পর্নগ্রাফি ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হতেই, পুলিশের দারস্থ হন দুই যুবতী। তারপরেই ধীরে ধীরে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তদন্ত শুরু করে নিউটাউন থানার পুলিশ।