চিকিৎসকদের মতানুযায়ী ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন উপস্থিত রয়েছে। ব্রেকফাস্টে একটা সিদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন শরীরে আসতে পারে। ডিমে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন D । যা শিশুদের দাঁত, হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। এমনকি ডাক্তারদের সুপারিশ অনুযায়ী, গর্ভবতী মহিলাদেরও নিয়মিত খাওয়া উচিত সিদ্ধ ডিম। তবে ডিমের এই গুনাগুন একমাত্র পাওয়া যাবে সিদ্ধ অবস্থাতেই।
কোলেস্টরাল কমাতেও সাহায্য করে সিদ্ধ ডিম। কিন্তু ডিমকে তেলে ভাজা হলে, এর উপকারিতা একেবারেই চলে যায়। অনেকের আবার ভ্রান্ত ধারণা আছে যে ডিম খেলে নাকি মেদ বৃদ্ধি হয়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন উলটো কথাই। সিদ্ধ ডিম খেলে নাকি হু হু করে মেদ ঝরে চেহারা হতে পারে ছিপছিপে।
হঠাৎ করে ক্লান্তি বোধ করলে চটজলদি খেয়ে ফেলুন একটি সিদ্ধ ডিম । শরীরে দ্রুত এনার্জি আনতে এর থেকে ভাল উপায় আর কিছু নেই।
কিন্তু এত সব উপকারিতার সাথে চিকিৎসকরা কিন্তু সাবধান বাণীও শুনিয়েছেন। তাঁদের কথায়, সিদ্ধ ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল হলেও বেশি খাওয়া সেই রকমই ক্ষতিকর। যাঁরা উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের বেশি সিদ্ধ ডিম বা ডিম না খাওয়াই ভাল। ইউরিক অ্যাসিডের প্রবণতা থাকলে, ডিম এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।