বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দুদিনের বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার, ২৬ মার্চ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। আবার এ-মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীও পালন করছে বাংলাদেশ। সেই উপলক্ষেই বাংলাদেশের প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে শহিদ হওয়া সংগ্রামীদের স্মরণ করেন মোদী। সেই সঙ্গে ৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অংশগ্রহণের প্রসঙ্গও তোলেন।
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সমর্থনে ভারতেই সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মোদী। আজ অনুষ্ঠানে একথাই বলেন তিনি। আজ নরেন্দ্র মোদী বলেন যে, ‘২০-২২ বছর বয়সে আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শামিল হয়েছিলাম, অনশন করেছি। আমাদের জেলেও যেতে হয়েছে। ’
https://twitter.com/ANI/status/1375417241101946886এদিন তিনি বাংলায় বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলব না। এদিন ভারত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও জোরালো করতে দুটি প্রস্তাব দেন। আজ তিনি বলেন যে, ‘বাংলাদেশের ৫০ জন উদ্যোগপতিকে আমি ভারতে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। তাঁরা ভারতে এসে আমাদের দেশের পুঁজিপতিদের সঙ্গে দেখা করুন। দুপক্ষেরই শেখা হোক।’ এই ঘোষণার পাশাপাশি বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপ ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও এদিন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুদিনের বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। লকডাউনের পর এই প্রথম নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফর করছেন। আর প্রথমেই গেলেন বন্ধু দেশ বাংলাদেশ সফরে। এদিন বাংলাদেশকে ১২ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে বাংলায় আগামিকাল শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। তার ঠিক একদিন আগে মোদীর এই সফর ঘিরে রাজনৈতিকমহলে চর্চা তুঙ্গে। এই সফরে বাংলার ভোটকে মাথায় রেখে, তিনি মতুয়া ধাম ওড়াকান্দি অঞ্চলেও যাবেন। মতুয়া সমাজের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। রাজনৈতিকমহলের ব্যখ্যা, বাংলার ভোটে ৮৪টি আসনে ১৭ লক্ষেরও বেশি মতুয়া ভোটার রয়েছেন। তাই ভোটের আগে, মোদীর বাংলাদেশ সফর বিশেষত মতুয়া মহাসঙ্ঘের আসল স্থানে যাওয়া, প্রভাব ফেলবে বাংলায় মতুয়া ভোটারদের মনেও।