বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশ হোক বা দেশে বাইরে, যেকোনো বিপদে ভারতীয়দের পাশে সদাসর্বদা রয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। এমনটাই আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই করোনা হোক বা আফগানিস্তানে সদ্য তালিবানের প্রত্যাবর্তন-যাই হোক না কেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরের পাশাপাশি দেশের বাইরে থাকা ভারতীয়দের সাহায্য করতে সবসময় প্রস্তুত ভারত সরকার। শনিবার জালিয়ানওয়ালাবাগের পুনর্নির্মিত স্মারক কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করার সময় এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখে এভাবেই সাম্প্রতিকের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ‘অপারেশন দেবীশক্তি’র মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সারা দুনিয়া সাক্ষী থেকেছে কীভাবে করোনাকালে এবং আফগানিস্তানে সংকটে ভারতীয়দের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।’
উল্লেখ্য, ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডে গোটা বিশ্ব কেঁপে উঠেছিল ব্রিটিশ সরকারের নৃশংসতায়। একশো বছর পেরিয়ে যাওয়া সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এদিন দেশভাগের তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এবার থেকে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিনটি ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। এদিনও তাঁর কথায় সেই বিভীষিকার কথাই ফিরে এল। তিনি বলেন, ”জালিয়ানওয়ালাবাগের মতোই আরেক বিভীষিকা আমরা দেশভাগের সময় দেখেছি। পাঞ্জাবের পরিশ্রমী ও প্রাণবন্ত মানুষরা দেশভাগের অন্যতম ভুক্তভোগী ছিলেন। দেশভাগের সময় যা যা হয়েছিল আজও ভারতের নানা প্রান্ত-সহ পাঞ্জাবের বহু পরিবারে তার দুঃস্মৃতি অনুভূত হয়।”
অন্যদিকে, এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের স্বাধীনতায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, দেশের স্বাধীনতার মহাযজ্ঞে আদিবাসীদের অবদান ভোলার নয়।
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের স্মরণে তৈরি ওই কমপ্লেক্সটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। ওই কমপ্লেক্সে বেশ কয়েকটি জাদুঘর ও গ্যালারি নির্মিত হয়েছে। এইদিন সেই গ্যালারিগুলিরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।