
বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) হারিয়ে আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন৷ মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় আসার পর, তাঁকে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তারপর এই প্রথম ফোনে দুই দেশের প্রধানের কথা হল। সোমবার রাতে সে কথাই ট্যুইট করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি তিনি সেই ট্যুইটে এও জানিয়েছেন, কী প্রসঙ্গে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইটারে লিখেছেন যে, ‘জো বাইডেনের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং তাঁর সাফল্যের জন্য আমার তরফ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। আমরা আঞ্চলিক ইস্যু এবং আমাদের অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসঙ্গেও একমত। অন্য্যদিকে আমরা নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক আদেশের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং তার বাইরে অধিক শান্তি ও সুরক্ষার জন্য আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের একত্রীকরণের অপেক্ষায় রয়েছি।’
Spoke to @POTUS @JoeBiden and conveyed my best wishes for his success. We discussed regional issues and our shared priorities. We also agreed to further our co-operation against climate change.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 8, 2021
President @JoeBiden and I are committed to a rules-based international order. We look forward to consolidating our strategic partnership to further peace and security in the Indo-Pacific region and beyond. @POTUS
— Narendra Modi (@narendramodi) February 8, 2021
উল্লেখ্য, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি এবং সুরক্ষা প্রসঙ্গে আলোচনার অর্থ, একটা বিষয় স্পষ্ট যে, চিন প্রসঙ্গে এই দুই দেশের প্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে নিশ্চিতভাবে। এদিকে ২০০০ সাল থেকে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত এবং কৌশলগত বিষয়গুলিতে ভারতের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির খুব একটা হেরফের হয়নি। তাই আশা করা হচ্ছে যে, আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টও সেই একই পথ ধরে হাঁটবেন। যদিও চিনের প্রতি বাইডেনের মনোভাব ঠিক কী, সে দিকেও নজর রয়েছে ভারতের। তার একমাত্র কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিনের প্রতি মনোভাব নিশ্চিতভাবে ভারতের উপর একটা প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে ভারত এবং চিনের মধ্যে এই মুহূর্তের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে।
অন্যদিকে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বাইডেন পন্থীরা দুই ভাগে বিভক্ত। তাই এর প্রভাব আমেরিকা-ভারত এবং ভারত-চিন সম্পর্কের উপরে পড়তে বাধ্য। জানা যাচ্ছে যে, বাইডেনের পরামর্শদাতাদের একাংশ ট্রাম্পের মতোই তীব্র চিন বিরোধী৷ আবার একাংশের মতে, আমেরিকা এবং চিনের অর্থনীতিকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব৷ তাই সেক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলিতে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করার পথেই হাঁটার সম্ভবনা রয়েছে বাইডেন প্রশাসনের৷