শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

মন্ত্রীর প্যাডে চাকরির সুপারিশ করে চিঠি! অভিযোগ উড়িয়ে মুখ খুললেন, প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন

০৭:১৩ পিএম, জুলাই ২৬, ২০২১

মন্ত্রীর প্যাডে চাকরির সুপারিশ করে চিঠি! অভিযোগ উড়িয়ে মুখ খুললেন, প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গুরুতর অভিযোগ! রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের 'লেখা' একটি সুপারিশ-চিঠিকে ঘিরে শুরু হল রাজনৈতিক বিতর্ক। চাকরির সুপারিশ করে আবেদনপত্র লেখার অভিযোগ উঠল, রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মন্ত্রী নিজের লেটার প্যাডে চিঠি লিখে, এক ব্যক্তির চাকরির জন্য সুপারিশ করেছেন। যদিও মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, তারিখ বিহীন ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের নির্বাহী বাস্তুকারের উদ্দেশ্যে। চিঠিটিতে অসিফের ঠিকানা রয়েছে ইংরেজবাজারর দৌলতপুর এলাকার। সেখানে সুব্রত ঘোষ নামে এক ব্যক্তির নাম করে, বলা হয়েছে যে, জোতকরম চৌধুরীটোলার এই ব্য়ক্তি আমার পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ। সে বেকার এবং দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাঁকে আপনার দফতরে সিকিউরিটি গার্ড বা অপারেটার বা প্ল্যান্টের যেকোনও কাজে নিয়োগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে কনসিডারের আবেদন জানাচ্ছি।

এরপর চিঠির নিচে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের নামে সাক্ষর ও সিল রয়েছে। আর এই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে মুহূর্তের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই চিঠির কারণে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠছে। শুধু তাই নয়, প্রশাসনকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এমনটাও অভিযোগে বলা হচ্ছে।

এদিকে, এই চিঠির বিষয়ে কী বলছেন সাবিনা ইয়াসমিন? সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, দুর্নাম করার জন্যই ওই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, ‘চিঠিটি সংশ্লিষ্ট দফতরে পৌঁছনোর আগেই তা ভাইরাল হয়ে গেল কীভাবে। এনিয়ে পুলিসে অভিযোগ করেছি। ওই চিঠিতে যে সাক্ষর রয়েছে, তা আমার নয়। যে চিঠি দিয়েছে তার চাকরি পাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। বরং সেটি নিয়ে শোরগোল তোলাই প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।’

https://www.youtube.com/watch?v=n-SVMSyrevE

তবে, ঘটনার সত্যতা জানতে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান তিনি। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মালদহ জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার অনিমেষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এমন চিঠি তিনি পাননি। তবে, এমন চিঠি প্রকাশ্যে আসতে জেলাজুড়েই শোরগোল শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে, এই চিঠির প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, একজন মন্ত্রীর সই জাল করে এমন চিঠি সত্যিই অবাক করে। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর সই জাল হয় কি করে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।