শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

দীর্ঘদিনের বিরতির পর রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ, কীভাবে সতর্ক থাকবেন পড়ুয়া-অভিভাবকরা?

০৮:৩৪ পিএম, অক্টোবর ২৫, ২০২১

দীর্ঘদিনের বিরতির পর রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ, কীভাবে সতর্ক থাকবেন পড়ুয়া-অভিভাবকরা?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দীর্ঘদিনের বিরতির পর অবশেষে করোনা আবিহের মধ্যেই রাজ্যে খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আজ এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন যে, কালীপুজো, ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো মিটলে এবং বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনের পরই রাজ্যে খুলে যাবে স্কুল যাবে স্কুল-কলেজ। এর জন্য প্রশাসন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। পাশাপাশি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ১৬ নভেম্বর থেকেই করোনাবিধি মেনে রাজ্যে খুলে যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। ফের পড়ুয়াদের ব্যাগ কাঁধে ছুটতে দেখা যাবে। তবে, করোনা কিন্তু এখনও পিছু ছাড়েনি। তাই করোনাকে ভুলে গেলে চলবে না। তাই পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও আরও বেশি করে সচেতন এবং সতর্ক হতে হবে। মাথায় রাখতে হবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবার স্কুলের পক্ষ থেকেও বেশকিছু জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবিশ্যক।

[caption id="attachment_37134" align="alignnone" width="1280"] প্রতিকি ছবি[/caption]

করোনার বিরুদ্ধে কীভাবে সতর্ক থাকবেন? স্কুল শুরুর আগে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন? টা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতে, পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। করোনা রুখতে সর্বপ্রথম উপায় হল মাস্ক পরা। তবে, তা অবশ্যই যেন নাক বা থুতনির নিচে না নামে তা খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত এন-৯৫ সার্জিক্যাল মাস্ক পরলে উপকার। তবে, পড়ুয়ার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

অন্যদিকে, ক্লাসরুমের ভিতরে কমপক্ষে ৩ ফুটের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয়, খোলা জায়গায় মিড-ডে-মিল খাওয়ানো বা প্রার্থনা, ব্যান্ড ও শরীরচর্চার ক্লাস করানোই ভালো। পড়ুয়া স্টাফসহ সকলকে সাবান দিয়ে হাট ধোয়া ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি ক্লাসের ভিতরে একই সময়ে যতোটা সম্ভব কম পড়ুয়াকে আনতে হবে। দু-তিনটে ক্লাসরুম নিয়ে যদি এক শ্রেণির পঠনপাঠন চালানো যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। টিফিন খাওয়ার সময় মাস্ক খুললে কমপক্ষে ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। সঙ্গে ক্লাসরুমের দরজা-জানালা খোলা রাখতে হবে। যতোটা সম্ভব খোলামেলা স্থানে পঠনপাঠন চালানো ভাল।

[caption id="attachment_37135" align="alignnone" width="1920"] প্রতীকী ছবি[/caption]

আবার স্কুলবাসে করে যেসব পড়ুয়ারা যাতায়াত করে, তাদের প্রত্যেককে আলাদা সিটে বসতে হবে। তবে, চিকিৎসকদের মতে, জমায়েত এড়াতে সাইকেল-বাইক বা হেঁটে যাওয়াই ভালো। স্কুলের লকার ব্যবহার না করাই ভালো। স্কুলে ঢোকার আগে পড়ুয়া, শিক্ষক ও স্টাফদের স্ক্রিন স্টেট বাধ্যতামূলক। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্রিন টেস্ট ও র‍্যাপিড রেজাল্টের ব্যবস্থা করাতে হবে। এছাড়াও পড়ুয়াদের দেহের তাপমাত্রা মাপতে হবে। ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে এবং অসুস্থ বোধ করলে পড়ুয়াকে ঘরে রাখাই ভাল। স্কুলেও তাপমাত্রা মাপতে হবে। স্কুলেই আইসোলেশনে রাখতে হবে।