শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বুধবার থেকেই কি শহরে ফের চালু হচ্ছে বাস? কী বলছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর?

০২:৩৭ পিএম, জুন ১৫, ২০২১

বুধবার থেকেই কি শহরে ফের চালু হচ্ছে বাস? কী বলছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর?

করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় রাজ্যে আরও ১৫ দিন বেড়েছে বিধিনিষেধের নিয়ম। আগামী মাসের ১ তারিখ অর্থাৎ ১ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে জারি থাকবে আংশিক লকডাউন। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় থাকলেও এখনই চালু হচ্ছে না গণপরিবহন পরিষেবা। বন্ধ থাকবে বাস, মেট্রো এবং ট্রেন চলাচল।

এদিকে বিধিনিষেধের মধ্যেই নিত্যকার কাজকর্মের জন্য রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রাস্তায় বাড়ছে মানুষের ভীড়। তাই এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বেশ কিছু সরকারি স্পেশাল বাস চলতে শুরু করতে পারে বলে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই কারণে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সমস্ত বাস ডিপোর সকল চালক, কন্ডাকটর, মেনটেনেন্স বিভাগের কর্মীদের হাজিরা দিতেও বলা হয়েছে৷ এর থেকেই ধারণা করা যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো শহরের রাস্তায় নামতে চলেছে সরকারি বাস।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুর, পুলিশ, নবান্ন ও মহাকরণের কর্মীদের জন্য স্পেশাল সরকারি বাস চলছে। এবার জনসাধারণের জন্যও স্পেশাল বাস চলা শুরু করবে। পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর, বাসের সংখ্যা বাড়লে রোজকার যাত্রীদের সুবিধা হবে। তাই নেওয়া হতে চলেছে এই সিদ্ধান্ত৷

অন্যদিকে, বেসরকারি বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ। ভাড়া বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি রাজ্যের ওপর চাপ দিচ্ছে। দাবী না মানলে আন্দোলনও করা হবে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে৷ সংগঠনের এক নেতা জানিয়েছেন, রাস্তায় বেসরকারি বাস না চললেও ব্যাংকের ই এম আই, বিমা ,রাস্তার কর ,পারমিট ফিজ ইত্যাদি দিতে হয়। ডিজেলের দামও বেড়েছে। এই মুহূর্তে লকডাউন মিটলেই ভাড়া বাড়ানো হোক, এই দাবীতেই অটল তাঁরা।

তিনি আরও দাবী করেছেন,অবিলম্বে ডিজেলের উপর জিএসটি বসানো হোক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্যাংক ই এম আই, বিমা, টোল ট্যাক্স ইত্যাদি অবিলম্বে মকুব করারও আবেদন জানিয়েছেন। তবে সংগঠনের ওই নেতার অভিযোগ, একাধিক বার কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। রাজ্য সরকার কিছুটা সাহায্য করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাহায্যের আশ্বাস মেলেনি। তাই নিজেদের দাবী পূরণ করতেই আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি।